জাহাজে উঠতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে নিখোঁজ নাবিক
Published: 21st, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে এক নাবিক নদীতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজের পর থেকে তার সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে নৌ-পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড।
শনিবার রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এক নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুলাল মিয়া নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার আবদুর রবের ছেলে। মাছ ধরার জাহাজ এফভি পারটেক্স -১ এ কর্মরত ছিলেন তিনি। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ওই নাবিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় সোমবার পারটেক্স কোম্পানির এফভি পারটেক্স-১ জাহাজের ম্যানেজার মো.
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত দুই জাহাজের ফাঁকে কর্ণফুলি নদীতে পড়ে যান ফিশ মাস্টার দুলাল মিয়া।
রাতে, খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় রোববার বিকেলে পাঁচটা পর্যন্ত ওই নাবিকের সন্ধান মেলেনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত ১৪
পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচির লিয়ারি এলাকার বাগদাদি মহল্লায় একটি পুরোনো পাঁচতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচির লিয়ারি এলাকায় স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ: বিচার-পুনর্বাসন আর কবে?
বরগুনায় সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
পাকিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন তারা এবং এ পর্যন্ত ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৪ জনের মরদেহ তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন চাপা পড়ে থাকায় সামনে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।
ঘটনাস্থল এবং উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন করাচি’র মেয়র মুর্তাজা ওয়াহাব। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ধসে পড়া ভবনটি ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং কয়েক বছর আগে ভবনটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে ঘোষণা করেছিল নগর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা তাদের ক্লান্তি নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্ট ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধার পরিষেবার নেতৃত্বদানকারী আবিদ জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হতে আরো আট থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
দক্ষিণ করাচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ আজিজ জানিয়েছেন, ভবনটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বসবাস করছিলেন।
লায়ারিতে ভবন ধসের ঘটনায় ইতোমধ্যে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আয়াজ সাদিক। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সিন্ধ প্রাদেশিক সরকারকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভবন ধসের ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিন্ধ প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাঈদ গনি। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ