চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে এক নাবিক নদীতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজের পর থেকে তার সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে নৌ-পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। 

শনিবার রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এক নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দুলাল মিয়া নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার আবদুর রবের ছেলে। মাছ ধরার জাহাজ এফভি পারটেক্স -১ এ কর্মরত ছিলেন তিনি। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ওই নাবিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় সোমবার পারটেক্স কোম্পানির এফভি পারটেক্স-১ জাহাজের ম্যানেজার মো.

সেলিম সিএমপি কর্ণফুলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত দুই জাহাজের ফাঁকে কর্ণফুলি নদীতে পড়ে যান ফিশ মাস্টার দুলাল মিয়া।

রাতে, খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় রোববার বিকেলে পাঁচটা পর্যন্ত ওই নাবিকের সন্ধান মেলেনি। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচিকে ঘিরে কক্সবাজারজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে জেলার ২৮টি স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেছেন, “পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার শহরসহ সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চলাচল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপরতা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”

অলক বিশ্বাস জানান, গুজব বা উস্কানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি স্থানে বিশেষ নজরদারি করতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের জান-মাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।

কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রুবায়েত হোসেন বলেছেন, “১৩ নভেম্বরকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কোনো নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর সামগ্রী বহন করতে না পারেন। প্রয়োজনে সন্দেহভাজন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া প্রতিটি গাড়ি নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থাও মাঠে আছে। পাশাপাশি, সৈকতের শহর কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি দপ্তর, পরিবহন টার্মিনাল ও পর্যটন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শতবর্ষী স্টিমারে কীভাবে চড়বেন, খরচ কত
  • সাভারের তিন থানায় আ.লীগের ৪২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
  • ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী