কোনো যুক্তিতে ‘মব সন্ত্রাসকে’ অনুমোদন করা যাবে না বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি মনে করে, দলীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে ‘মব সন্ত্রাসের’ হোতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ফরিদপুরে ব্যবসায়ী এ কে আজাদের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হওয়া ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, ‘যে যুক্তিতে তাঁর বাড়িতে বিএনপির নেতা–কর্মীরা চড়াও হয়েছে, তা উদ্ভট ও হাস্যকর। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সময় একই রকম অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা–কর্মীদের বাড়িতে হামলা করত। এসব কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী তৎপরতা ছাড়া আর কিছু নয়।’

চট্টগ্রামের পটিয়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, আক্রমণ ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়াকে সন্ত্রাসী তৎপরতা আখ্যায়িত করে সাইফুল হক বলেন, এই ধারা চলতে দিলে বিদ্যমান সামাজিক নৈরাজ্য দ্রুত রাজনৈতিক নৈরাজ্যের চেহারা নেবে।

দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘মব সন্ত্রাসের কথা বলেও এসব তৎপরতা আড়াল করা যাবে না। গত ১১ মাসে “মব জাস্টিস”–এর নামে অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অনেক ঘটনার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন অংশের ইন্ধন জোগানোর মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।’

বিবৃতিতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ জোরদারের আহ্বান জানান সাইফুল হক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পুলিশের তৎপরতায় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
  • ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা