দুই কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় দম্পতি গ্রেপ্তার
Published: 28th, April 2025 GMT
সিলেটের দুই কিশোরীকে কক্সবাজারে নিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় কিশোরীর মা রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শাহপরান থানায় মামলা করেন। পরে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে অভিযান পরিচালনা করে দুই কিশোরীর প্রতিবেশি শাহনাজ ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী শাহনাজ ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজু দুই কিশোরীকে কক্সবাজার পাঠান। সেখানে তাদের ছেলে ইমন হোসেন ও মেয়ে পিংকি ওরফে বৃষ্টি মিলে ভিকটিমদের কক্সবাজারে দুটি হোটেলে ১৫ দিন আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে দুই কিশোরী সিলেটে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার স্বামী ও স্ত্রীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন:
ডিবির অভিযানে আ.
পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঢাকা/নুর/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে অবৈধ বালু ও পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ৪ নৌকা আটক করলেন স্থানীয়রা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ও পাথর নিতে আসা চারটি নৌকা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর থেকে পাথর চুরি ঠেকাতে সোচ্চার হন এলাকাবাসী। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ধলাই সেতু এলাকা থেকে নৌকাগুলো আটক করে পুলিশে দেয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সাদা পাথরসহ আশপাশের এলাকা থেকে বালু ও পাথর লুটপাট চলছে। লুটপাট করা পাথর ও বালু পরিবহন করতে সুনামগঞ্জ থেকে নদীপথে বড় বড় স্টিল নৌকা কোম্পানীগঞ্জে যাচ্ছে। এসব কাজে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে স্থানীয় সচেতন লোকজন অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আটক করা নৌকার মালিকদের পাওয়া যায়নি। নৌকাগুলোতে কিছু বালু ছিল। নৌকাগুলো বর্তমানে পুলিশের জিম্মায় আছে।
এদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধলাই নদে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৮টি নৌকা ধ্বংস করে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুননাহার। এতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সহযোগিতা করেন।