নবীযুগের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর মধ্যে মসজিদে গামামা অন্যতম। এই মসজিদের নামকরণের পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
আরবি শব্দ ‘গামামাহ’ অর্থ মেঘমালা। মদিনায় একবার দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল না। তখন মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এই স্থানে খোলা চত্বরে বৃষ্টি প্রার্থনা করে নামাজ আদায় করেন, যাকে ইসলামে বলে ‘ইসতিসকা নামাজ’। নামাজের পর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই অলৌকিক ঘটনার স্মরণে এই স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যার নামকরণ হয় মসজিদে গামামা।
মসজিদে গামামা মদিনার প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থান হিসেবে পরিচিত। মহানবী (সা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুর নাম রেখে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন তিনি
সদ্যোজাত সন্তানের নামকরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ ও দোটানার শেষ নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাসিন্দা টেলর এ হামপ্রি শিশুদের নামকরণকে পেশায় পরিণত করেছেন। মা–বাবাকে নবজাতকের জন্য নাম খুঁজে পেতে সহায়তা করাই তাঁর কাজ। বিনিময়ে তিনি নেন লাখ লাখ টাকা।
দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট–এর তথ্যমতে, কোনো শিশুর নাম খুঁজে দিতে হামপ্রি সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেন, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ।
নামের প্রতি হামপ্রির ভালোবাসা পুরোনো। এক দশক আগে তিনি শিশুদের নামকরণে অনলাইনে সেবা দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে শিশুদের নাম রাখা নিয়ে প্রচার শুরু করেন। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচ শতাধিক শিশুর নাম রাখতে সহায়তা করেছেন।
হামপ্রির গর্ভবতী নারীদের মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে। তা ছাড়া ব্র্যান্ডিং ও বিপণন নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতা আছে। নামকরণের ব্যবসা করতে তাঁকে এসব বিষয় সহায়তা করেছে।
নবজাতকের মা–বাবার পছন্দ বুঝতে হামপ্রি তাঁদের অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। সাধারণ ই-মেইল নামের তালিকা দিয়ে পরামর্শ দিতে তিনি নেন ২০০ ডলার (প্রায় ২৪ হাজার টাকা)। আর পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজের জন্য নেন ৩০ হাজার ডলার। এই প্যাকেজে অন্যান্য কিছুর মধ্যে যে শিশুর নাম রাখা হবে, তার পারিবারিক ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হয়।
শুধু নাম প্রস্তাব নয়, শিশুর নাম রাখা নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিলে হামপ্রিকে অনেক সময় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করতে হয়। ধনী পরিবারের পাশাপাশি পরিচিত তারকারাও নবজাতকের নামকরণে তাঁর দ্বারস্থ হন।
২০২১ সালে নিউইয়র্কার–এ হামপ্রির প্রোফাইল ছাপানো হয়। এর পর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
হামপ্রিকে নিয়ে অনলাইনে কিছুটা সমালোচনাও হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছে, এমন আধেয়র (কনটেন্ট) মাধ্যমে প্রায় সময় মানুষ আমাকে খুঁজে পায়। তাই আমি এটা মেনে নিয়েছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, আমার কাজটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’