টালিউড অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তিনি নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। একের পর একে সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। পরে হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। যোগ দেন রাজনীতিতে। এখন তিনি বীরভূমের সাংসদ। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পর ‘বাৎসরিক’ সিনেমা দিয়ে আবার অভিনয়ে ফিরলেন তিনি।

অভিনয়ে ফিরে দেখলেন ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন। বিশেষ করে প্রযুক্তি বদলে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির পুরো চেহারা। তবে এই প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করে খুশি এই সাংসদ-অভিনেত্রী। 

দীর্ঘ দিন পর ফিরে আনন্দবাজার অনলাইনকে শতাব্দী রায় বলেন, ‘সব কিছুরই ধারা বদলে গেছে। প্রযুক্তির কারণে পাল্টে গেছে অনেক কিছু। মানুষের মধ্যেও বদল এসেছে। কাজ করার পদ্ধতিও আগের মতো নেই। তাই ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কতটা মানিয়ে নিতে পারব। দুই-তিনটি ক্যামেরায় কাজ করায় অভ্যস্ত নই। তার পরেও বলব, কাজ করে ভাল লেগেছে। লম্বা বিরতির পর কাজে ফেরা মানে তাজা মন নিয়ে কাজে নামা। যেন নতুন করে ফিরলাম। কেমন কাজ করলাম সেটা দর্শকের উপরে ছেড়ে দিলাম।

রাজনীতিতে নাকি বিনোদন- কোন জগতে বেশি অভিনয় করতে হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অভিনয় করতেই হবে, ‘এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যারা মনে করেন অভিনয় করবেন তারা করেন। রাজনীতি বা বিনোদন দুনিয়ার বাইরের অনেকেও তো অভিনয় করেন। সম্পর্কে অভিনয় করেন। বাঁচার তাগিদে, ঠকানোর তাগিদে, ভাল থাকার তাগিদে, কাউকে খারাপ রাখার তাগিদে অভিনয় করেন। শুধু রাজনীতি বা বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না। রোজই আমাদের কোনও না কোনও কারণে অভিনয় করতেই হয়।’

‘বাৎসরিক’ সিনেমার পর অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “যদি গল্প ভাল লাগে, চরিত্র পছন্দ হয় আগামী দিনে আবার হয়তো আমাকে দেখা যাবে। যেমন, মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘বাৎসরিক’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরলাম। আমার সঙ্গে সময় ভাগ করে নেওয়াটাও একটা বড় ব্যাপার। আমার প্রচণ্ড কাজের চাপ। তাই অভিনয় নিয়ে ভাবনাটাও তেমন।”

পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ‘বাৎসরিক’-এ শতাব্দী রায়ের পাশাপাশি থাকছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। পহেলা বৈশাখের সকালে ছবির পোস্টারের ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে। এবার মুক্তির পালা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শত ব দ র য় ব ৎসর ক র জন ত ক জ কর শত ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।

তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ