লোক ঠকানোর তাগিদেও অনেকে অভিনয় করেন: শতাব্দী রায়
Published: 3rd, May 2025 GMT
টালিউড অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তিনি নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। একের পর একে সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। পরে হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। যোগ দেন রাজনীতিতে। এখন তিনি বীরভূমের সাংসদ। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পর ‘বাৎসরিক’ সিনেমা দিয়ে আবার অভিনয়ে ফিরলেন তিনি।
অভিনয়ে ফিরে দেখলেন ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন। বিশেষ করে প্রযুক্তি বদলে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির পুরো চেহারা। তবে এই প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করে খুশি এই সাংসদ-অভিনেত্রী।
দীর্ঘ দিন পর ফিরে আনন্দবাজার অনলাইনকে শতাব্দী রায় বলেন, ‘সব কিছুরই ধারা বদলে গেছে। প্রযুক্তির কারণে পাল্টে গেছে অনেক কিছু। মানুষের মধ্যেও বদল এসেছে। কাজ করার পদ্ধতিও আগের মতো নেই। তাই ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কতটা মানিয়ে নিতে পারব। দুই-তিনটি ক্যামেরায় কাজ করায় অভ্যস্ত নই। তার পরেও বলব, কাজ করে ভাল লেগেছে। লম্বা বিরতির পর কাজে ফেরা মানে তাজা মন নিয়ে কাজে নামা। যেন নতুন করে ফিরলাম। কেমন কাজ করলাম সেটা দর্শকের উপরে ছেড়ে দিলাম।
রাজনীতিতে নাকি বিনোদন- কোন জগতে বেশি অভিনয় করতে হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অভিনয় করতেই হবে, ‘এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যারা মনে করেন অভিনয় করবেন তারা করেন। রাজনীতি বা বিনোদন দুনিয়ার বাইরের অনেকেও তো অভিনয় করেন। সম্পর্কে অভিনয় করেন। বাঁচার তাগিদে, ঠকানোর তাগিদে, ভাল থাকার তাগিদে, কাউকে খারাপ রাখার তাগিদে অভিনয় করেন। শুধু রাজনীতি বা বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না। রোজই আমাদের কোনও না কোনও কারণে অভিনয় করতেই হয়।’
‘বাৎসরিক’ সিনেমার পর অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “যদি গল্প ভাল লাগে, চরিত্র পছন্দ হয় আগামী দিনে আবার হয়তো আমাকে দেখা যাবে। যেমন, মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘বাৎসরিক’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরলাম। আমার সঙ্গে সময় ভাগ করে নেওয়াটাও একটা বড় ব্যাপার। আমার প্রচণ্ড কাজের চাপ। তাই অভিনয় নিয়ে ভাবনাটাও তেমন।”
পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ‘বাৎসরিক’-এ শতাব্দী রায়ের পাশাপাশি থাকছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। পহেলা বৈশাখের সকালে ছবির পোস্টারের ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে। এবার মুক্তির পালা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শত ব দ র য় ব ৎসর ক র জন ত ক জ কর শত ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার শুনানি পেছানোর আবেদন খারিজ ইসরায়েলি আদালতে
ইসরায়েলের একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন করেন। এতে তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের শুনানিতে যেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আদালতে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কারণ হিসেবে আইনজীবী বলেন, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘাতের পর নেতানিয়াহুকে নিরাপত্তাবিষয়ক কাজে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। তাই এই সময়টায় আদালতের শুনানি থেকে তাঁকে ছাড় দেওয়া হোক।
তবে জেরুজালেম ডিস্ট্রিক্ট আদালত অনলাইনে দেওয়া এক আদেশে বলেন, শুনানি বাতিল করার জন্য আবেদনপত্রে যথেষ্ট কারণ বা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তাঁর সমর্থকেরা এই দীর্ঘদিনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন।
প্রথম মামলায় নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে তাঁরা বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের সিগার, গয়না, শ্যাম্পেনের মতো বিলাসবহুল উপহারসামগ্রী নিয়েছেন।
আরও দুটি মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসরায়েলের দুটি গণমাধ্যমে নিজের পক্ষে ভালো সংবাদপ্রচারের বিনিময়ে তিনি তাদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এসব মামলাকে ‘জাদুটোনা খেলা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই মামলা এখনই বাতিল করা উচিত। অথবা এই মহান নেতাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।