এবার পাকিস্তান রেঞ্জার্স সদস্যকে আটক করল ভারত
Published: 4th, May 2025 GMT
ভারতের রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে গতকাল শনিবার পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এক সদস্যকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে বিএসএফের এক জওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানে রেঞ্জার্স। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর এবার পাকিস্তানের রেঞ্জার্সকে আটক করল বিএসএফ।
রবিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভ।
আরো পড়ুন:
দুই দেশের নাগরিকদের ফেরত দিল বিজিবি-বিএসএফ
ভারত সিরিজ যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবেই হবে: ফাহিম
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাহুকে গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের পাক-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছিল রেঞ্জার্স। পরে ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানালেও তাকে হস্তান্তর করেনি পাকিস্তান।কার্যত এবার পাকিস্তান রেঞ্জার্সকেও আটক করল ভারত।
আটককৃত পাকিস্তানি রেঞ্জার, যার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের হেফাজতে রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী বিএসএফ জওয়ানদের ফিরিয়ে দেওয়ার একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে, পাকিস্তান সাহুকে এখনও আটক রেখেছে। এদিকে, বন্দী পাকিস্তানি রেঞ্জারের সাথে ভারত কী করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রেঞ্জারের আটকের কয়েক ঘণ্টা পরে, পাকিস্তানি সেনা পোস্টগুলো ৩-৪ মে মধ্যরাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিক সেক্টরে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলি চালায়, যার মধ্যে রয়েছে কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর। ভারতীয় সেনা ইউনিটগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, সাহুর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে পাকিস্তানি পক্ষ কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি বা তার বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করেনি।
২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পটভূমিতে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত।
ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা, আটারি-ওয়াঘা স্থল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা, কূটনৈতিক কর্মীদের প্রত্যাহার করা এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা। পাকিস্তানের পতাকাবাহী জাহাজের জন্য ডাক বিনিময় এবং বন্দর অ্যাক্সেসও বাতিল করা হয়েছে।
উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী শনিবার তার আবদালি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা, এই পদক্ষেপকে ‘প্রকাশ্য উস্কানি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে ‘টিকটক’ করে জেলহাজতে দুই কলেজছাত্র
নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে টিকটক ও সেলফি তোলার সময় দুই বাংলাদেশি কলেজছাত্রকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দিলেও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক দুই ছাত্র হলেন– বদলগাছী উপজেলার ধুলাপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ মিনহাজুল ইসলাম ও পাতকোলা গ্রামের মোহাম্মাদ তালিম আহমেদ সৌরভ। মিনহাজুল নওগাঁ ডিগ্রি কলেজের এবং সৌরভ সাপাহার সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিনহাজুল ও সৌরভ সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের বামনপাড়া সীমান্তের ২৪৬ নম্বর পিলার এলাকায় বেড়াতে যান। এ সময় কাঁটাতারের বেড়াঘেঁষে টিকটক ও সেলফি তুলছিলেন তারা। ভারতের অভ্যন্তরে সন্দেহভাজন প্রবেশের অভিযোগে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। খবর পেয়ে বামনপাড়া বিওপির নায়েক সুবেদার তালেব ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে ফেরত এনে রাত ১০টার দিকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, বিজিবির অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।