সীমান্তে চোরাচালানের নেপথ্যে ‘সেভেন স্টার’
Published: 4th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্যে বন্ধ থাকায় সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে। এতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনকে নিরাপদ রুট হিসেবে টার্গেট করেছে চোরাকারবারিরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাগরপথে মিয়ানমারের পাচারকালে ৬০০ বস্তা সারসহ দশ পাচারকারীকে আটক করে কোস্ট গার্ড। তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিয়ানমারে পাচার করেছে ৪০০ বস্তা সিমেন্ট আর ঢেউটিন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউপি সদস্যসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ-সেন্টমার্টিন স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য দেদারসে পাচার হচ্ছে। তার বিপরীতে আবার আসছে মাদক। চোরাই পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে পেঁয়াজ, তেল, রড ও সিমেন্ট। একইভাবে সেদেশ থেকে মাদক, গরু-মহিষসহ বিভিন্ন পণ্য আসছে।
এদিকে অনুসন্ধানে পাচারের নেপথ্যে সিন্ডিকেটের চক্রের কিছু নাম উঠেছে। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে নানা জালিয়াতির মাধ্যমে মিয়ানমারের খাদ্য পণ্য, সার, নির্মাণসামগ্রী পাচার করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এ চক্রের মধ্য অন্যতম ‘সেভেন স্টার’।
তারা হচ্ছেন- আবদুল মোনাফ, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আলম, আবু তালেব, মো.
অভিযোগের বিষয়ে সেন্টমার্টিন বীচ কর্মী আশিকুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপে সংস্কার করতে সিমেন্ট যেতে আমার নামে অনুমতিপত্রটি দ্বীপে ইউপি সদস্য মাহাফুজা আক্তার রিসিভ করেছিলেন। পরে শুনেছি এ অনুমতিপত্র নিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আমি জড়িত না। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
অন্যদিকে গত দুই দিন আগে উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা ৪০০ সিমেন্ট ও টিন মিয়ানমারে পাচারের অভিযোগে শুক্রবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বীচ কর্মী আশিকুর রহমান এবং ইউপি নারী ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারসহ ৭-৮ চোরাকারবারিকে অজ্ঞাত দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের ডকুমেন্ট জালিয়াতি করে একটি চক্র মিয়ানমারে সিমেন্ট-টিন পাচার করেছে। এর সঙ্গে জড়িত একজন বীচ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি একই ইউপি সদস্যসহ দুজনকে এজাহার এজাহারভুক্ত করে আরও ৭-৮ জন চোরাকারবারিকে অজ্ঞাত দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া দীর্ঘ দিন চোরাচালানে জড়িত ‘সেভেন স্টার’ নামে একটি চক্রসহ আরো কিছু চোরাকারবারির নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালানে ‘সেভেন স্টার’ জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মিয়ানমারে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের আইনের আত্ততায় আনলে সীমান্তে অনেকটা চোরাচালান কমে আসবে বলে ধারণা তার।
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘সীমান্তে মাদক, মানবপাচার ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন ব শ ষ ক ষমত চ র ক রব র ক রব র র ব চ কর ম প চ র কর উপজ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিশ কাগজ আর মাস্টারমাইন্ড—অ্যাশেজ ঘিরে স্মিথ–পানেসারের পাল্টাপাল্টি
স্টিভেন স্মিথ এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক নন, প্যাট কামিন্স নেই বলে পার্থে তাঁকে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। আর সেই সূত্রে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছে স্মিথকে।
কী অদ্ভুত ব্যাপার, ‘ঠেকা’ কাজ সারতে এসে স্মিথ বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন এমন একজনের সঙ্গে, গত এক যুগ যিনি টেস্ট আঙিনায় নেই। তাঁদের তপ্ত বাগ্যুদ্ধে উঠে এল ‘সিরিশ কাগজ’, আর ‘মাস্টারমাইন্ডের’ মতো শব্দ, যা অতীতের ঘটনা না জানা থাকলে হেঁয়ালির মতো শোনাতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলের জন্যই অ্যাশেজ হলো মর্যাদার লড়াই, যা জেতার জন্য মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও খেলার অংশ হয়ে ওঠে দুই দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা একে অপরের দুর্বল জায়গাগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যান অবিরত।
তেমনই এক আক্রমণের অংশ হিসেবেই গত সপ্তাহে একটি বেটিং কোম্পানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথের ‘সিরিশ কাগজ কেলেঙ্কারি’ সামনে নিয়ে আসেন পানেসার। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন ব্যাকক্রফট বলে সিরিশ কাগজ ঘষে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় স্মিথের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, দেওয়া হয় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও।
সেই স্মিথ এবার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে চলেছেন জানার পর পানেসার ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলেন, তাঁরা যেন তাঁর (স্মিথের) নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ মিডিয়াকেও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ স্মিথ