ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর প্রসিকিশন বিভাগের দুর্নীতি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

গত ২৯ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঘুষের গোপন মিশন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

রবিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আদেশে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টে নিম্নস্বাক্ষরকারীর গোচরীভূত হয়েছে যে, জি.

আর শাখার নথি আটকে বিচার প্রার্থীদের কাছ থেকে গোপনে টাকা আদায় ছাড়াও হাজতখানায় বন্দিদের সাক্ষাৎ ও খাবারের সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে কতিপয় কর্মকর্তা ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়া বদলি, পদায়নের ক্ষেত্রেও ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে তা প্রতিকারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া আবশ্যক বলে নিম্ন স্বাক্ষরকারী মনে করে।

আদেশে আরও বলা হয়, বর্ণিত অভিযোগসমূহ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নিম্নলিখিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। 

কমিটির সদস্যরা হলেন, ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো হুমায়ুন কবির, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিশন) রাশেদ হোসেন পরাগ।

এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা/এম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহর জলমগ্ন হয়ে গেছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান জলবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এতে বিপাকে পড়েছে শহরবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রের জজ কোর্ট সড়ক, জেলা প্রশাসক সংলগ্ন সড়ক, পৌর বাজার, লক্ষীনারায়নপুর সড়ক, হরিনারায়ণপুর সড়ক, দরগা বাড়ি, খন্দকারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের সড়কে ও দোকানপাটে পানি উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, “প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই শহরে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ আমরা দেখি না। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ও সক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থেকেই স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বাড়ছে।”

আনিসুর রহমান নামে অপর একজন বলেন, “যদি বৃষ্টিপাত না কমে এবং নিষ্কাশন কার্যক্রম শুরু না হয় পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।”

ইকবাল নামে শহরের আরেক বাসিন্দা বলেন, “শহরের প্রধান আবাসিক এলাকা হাউজিং পানিতে ডুবে আছে। টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।”

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।”

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে পানি কানায় কানায় পূর্ণ। তাই বৃষ্টির পানি সড়কে এসে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার বসেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণের সহযোগিতাও প্রয়োজন।”

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ