আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। আজ শনিবার (১২ জুলাই) ছিল তাঁর ২৮তম জন্মদিন।

তানজানিয়ায় জন্মদিনের মধ্যেও মেয়েদের শিক্ষার অধিকারকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন তিনি। এ লক্ষ্যে সময় কাটাচ্ছেন দেশটির মেয়েদের সঙ্গে।

তানজানিয়ায় এটি মালালার প্রথম সফর। দেশটিতে গিয়ে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা স্থানীয় অধিকারকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মালালা। দেখা করেছেন তাঁরই প্রতিষ্ঠা করা মালালা ফান্ডের অংশীদারদের সঙ্গে। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করে অলাভজন এই সংস্থা। ২০২২ সাল থেকে তানজানিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে মালালা ফান্ড।

মালালা ইউসুফজাই ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। নারীশিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে বন্দুকধারীরা তাঁকে গুলি করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। নারীশিক্ষা নিয়ে কাজ করার জন্য মালালা সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পান তিনি।

নারীশিক্ষার পক্ষে কাজ করায় মালালার নামে জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবসও রয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ জুলাই তাঁর ১৬তম জন্মদিনে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করে। এরই মধ্যে আত্মজীবনী লিখেছেন নোবেলজয়ী এই তরুণী। বইয়ের নাম আই অ্যাম মালালা: হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বইটি।

তানজানিয়া সফরের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন মালালা। তাতে তিনি দেশটি সফরকালে যে আনন্দ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, তা তুলে ধরেছেন। লিখেছেন, ‘আমি যখন পাকিস্তানে বেড়ে উঠছিলাম, স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ছিল আমার সবচেয়ে পছন্দের স্থান। শিক্ষা আমাকে আশার আলো দেখিয়েছিল। যখন সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো, তখন বন্ধুদের সঙ্গে আমি তা ফিরে পাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলাম। আজ আমি মেয়েদের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে আবার ফিরে এসেছি, যারা আমাকে স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, এই লড়াইটা কেন প্রয়োজন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না: মজিবুর রহমান

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেছেন, আর যা-ই করেন, হাসিনার আমলের গুম-খুনের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না। তিনি বলেছেন, আওয়ামী-হাসিনার আমলের নৃশংস গুম-খুনের কথা মানুষ তখনই ভুলতে পারে, যখন একই রকম খুন-খারাবি এবং পাশবিক আচরণ আগেকার ‘মজলুমদের’ দ্বারা সংঘটিত হতে থাকবে।

সম্প্রতি পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ভাঙারি পণ্যের ব‍্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়দিন আগেও আমরা সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। কে ছোট, কে বড়—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নাই। সবাই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। তাহলে আজ কেন এত বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলছি?’

আফসোস জানিয়ে এ বি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু পরক্ষণেই আবার ক্ষুদ্র স্বার্থে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির রোগ কোনো সংস্কার দিয়ে সারবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতা পেলেই অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোনো দলের পক্ষেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না। হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি হয় তাহলে আমাদের সকলকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ