সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী আট শিক্ষার্থী
Published: 12th, July 2025 GMT
সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী আট শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে স্মার্টফোন ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বিজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাফিম করিম খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় স্নাতক পর্যায়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে সেরা আট বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। সম্মাননা ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনেসকো ঢাকার হেড অব অফিস অ্যান্ড রিপ্রেজেনটেটিভ সুশান ভাইজ বলেন, ‘হুয়াওয়ের “সিডস ফর দ্য ফিউচার” প্রতিযোগিতার কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করছে। বিজয়ী তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা, উৎসাহ ও অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তাঁরা ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখেন। আমি বিশ্বাস করি, এমন মেধাবী তরুণ-তরুণীরাই আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবেন।’
হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক লিন হাই বলেন, ‘বাংলাদেশে সিডস ফর দ্য ফিউচারের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রতিবছর মেধাবীদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগ হুয়াওয়ের “বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য” লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন, যা এ দেশের মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী আইসিটি খাত গড়ে তোলার প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে মূল্যবান শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে হুয়াওয়ে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক আলোচনা: আগস্টের আগেই ইতিবাচক ফলের আশাবাদ ঢাকার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় দফা শুল্ক আলোচনা শেষে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তাই ঢাকার আশা, আগামী ১ আগস্টের নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি ইতিবাচক ফল অর্জন সম্ভব হবে। ওই দিন থেকেই সব বাংলাদেশি পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত থাকলেও আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে।’ তিনি জানান, উভয় পক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলবে এবং দুই দেশের প্রতিনিধিরা আবারও বৈঠকে বসবেন। আলোচনা সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি—উভয় মাধ্যমেই হতে পারে। তারিখ ও সময় শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।
প্রয়োজনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্যসচিব ও অতিরিক্ত সচিব আবারও যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব।
তিন দিনের আলোচনা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট–সংক্রান্ত সংস্থার কর্মকর্তারাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাস আলোচনার সমন্বয় করে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয় (ইউএসটিআর) ৯-১১ জুলাই পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়।
৭ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের নেতাদের চিঠি পাঠান। বাংলাদেশ এসব দেশের অন্যতম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেন, ‘আপনার দেশের বাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত করলে এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে নিলে, আমরা এই চিঠিতে উল্লিখিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক হার পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’
ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ঘোষিত এই শুল্কহার বৃদ্ধি বা হ্রাস—উভয়ই হতে পারে। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আপনাকে হতাশ করবে না।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি পূরণে ৩৫ শতাংশ হার এখনো যথেষ্ট নয়। তবে, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করেন, তাহলে কোনো শুল্কই থাকবে না। বরং দ্রুত অনুমোদন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’