সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটর্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন পদ্মা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বাদ এশা সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বার্মাশীলস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটর্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন পদ্মা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহম্মদের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটর্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন পদ্মা শাখার উপদেষ্টা আলহাজ¦ আতিকুর রহমান (নান্নু মুন্সি) কামাল হোসেন, হাজী মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, কার্যকরী সভাপতি আলহাজ¦ সাইজুদ্দিন মাদবর, সহ-সভাপতি হাজী অকিল উজ্জামান, হাজী আহম্মদ হোসেন, শামীম আহম্মদ প্রধান, জহিরুল ইসলাম (রনি মুন্সি), যুগ্ম-সম্পাদক হাজী রিপন কাজী, রাশেদ ভূইয়া ইফরান, জুয়েল আবেদীন, স্বপন কাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হাজী জালাল আহম্মদ, প্রচার সম্পাদক হাজী আওলাদ হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক সেলিম ভূইয়া, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলী প্রধান স্বপন, কার্যকারী সদস্য হাজী সিরাজ মিয়া, নজরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, হাজী আলী হোসেন, হাজী আব্দুল খালেক ও ফোরকান মিয়া প্রমূখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্য মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, একে অপরের সহযোগি হয়ে সবাইকে সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে। 

কার কোন পদ সেটা বড় কথা না, আমি সংগঠনের জন্য কাজ করতে পারবো কি না সেটাই বড় কথা।
কাজ করার জন্য কোন পদ পদবী দরকার হয় না, সংগঠনের সদস্য হয়েও কাজ করা যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা যারা এই সংগঠনে আছি কে কোন পদে আছি এটা বড় কথা না,আমরা সবাই এক। আমরা সবাই সবার সহযোগি এই মনোভাব নিয়ে আমরা এই সংগঠন পরিচালনা করবো।

এসময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটর্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন পদ্মা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহম্মদ বলেন, আমি আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যে আমার দায়ীত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন য স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

চবির বিশেষ ভোজের টোকেনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ‘অতিথি’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আবাসিকদের শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে এবং অনাবাসিকদের অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, আবাসিকদের জন্য টাকার পরিমাণ কম ধরলেও অনাবাসিকদের জন্য বেশি ধরা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ফরহাদ হোসেন হলে উন্নত ভোজের টোকেন আবাসিকদের জন্য ১০০ টাকা ধরা হয়েছে। অপরদিকে, অতিথিদের জন্য ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা; এই অতিথিরা হলেন হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। শামসুন নাহার হলে আবাসিকদের জন্য ৮০ টাকা, অনাবাসিকদের জন্য ১৭০ টাকা। মিল পদ্ধতি চালু থাকা আমানত হলে আবাসিকদের জন্য ফ্রি হলেও অনাবাসিকদের জন্য ৭০ টাকা। তবে সোহরাওয়ার্দী হলে আবাসিক-অনাবাসিক সবার জন্যই ১৫৫ টাকা ধরা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল শাবিপ্রবি প্রশাসন

চবিতে বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আত্মপ্রকাশ

এদিকে, বিজয়-২৪ হলের প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক-অনাবাসিক সবার জন্য ৮০ টাকা উল্লেখ করলেও দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে অনাবাসিকদের জন্য ১৭০ টাকা ধরা হয়েছে। এভাবে অন্যান্য হলগুলোতেও একই অবস্থার কথা জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিফ মাহমুদ বলেন, “৫ আগস্টের ফিস্ট নিয়ে হলে হলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করছে, সেখানে আবাসিক-অনাবাসিক আলাদা করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, প্রশাসনদের ছাত্র বা সন্তান কি শুধু আবাসিকরা? আমরা যারা অনাবাসিক, তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ে এসেছি?”

তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা আমাদের হলে সিট দিতে পারেননি, এটা আপনাদের ব্যর্থতা। এই আবাসিক-অনাবাসিক পরিচয় বন্ধ করুন। আয়োজন করলে সবার জন্য সমান করে আয়োজন করুন। আর সেটা না পারলে আয়োজন বন্ধ করুন।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম শাহ ফেসবুকে লেখেন, “কোনো একটা বিশেষ দিন এলেই দেখা যায়, হল প্রশাসনগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে দাঁড় করানোর ভণ্ডামি। ৫ তারিখে আয়োজনকে ঘিরে তারা আবার সেই অতিথি টার্ম সামনে নিয়ে আসছে। ফরহাদ হলে অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ ভোজের আয়োজনের টোকেন আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা এবং অতিথিদের জন্য ১৭০ টাকা। বাকি হলগুলোতে বোধহয় তাই করেছে। কিন্তু এই অতিথিগুলোও তো বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।”

তিনি বলেন, “বাহির থেকে যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আসবে, তাদের থেকে ৭০ টাকা করে বেশি না নিলে তো হল প্রশাসন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে না। আর আপনাদের যদি সামর্থ্য নাই থাকে, কাউকেই খাওয়ায়েন না। কিন্তু ৫ আগস্টের দিনকে কেন্দ্র করে করা অনুষ্ঠানে প্রিভিলেজড-আনপ্রিভিলেজড বিষয়টা জিইয়ে রাখাটা নিতান্ত নোংরামি লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এটা নিয়ে ভাবা উচিত।”

এ বিষয়ে শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “এ সিদ্ধান্তটি শুধু ফরহাদ হলের জন্য নয়, অন্যান্য হলেও এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। মূলত উন্নত ভোজের আয়োজনটি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে। তারপরেও কোনো অনাবাসিক শিক্ষার্থী বা কারো বন্ধুবান্ধব অংশ নিতে চাইলে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ