ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান।

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেতর পাভেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, চাপ না বাড়ানো পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংঘাত শেষ করতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন না।

জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাশিয়া চাপ প্রয়োগ ছাড়া যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাশিয়ার উপেক্ষা করার আজ ৫৪তম দিন।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো মুহূর্তেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব। সেটা আজ থেকেও হতে পারে। আর এই যুদ্ধবিরতি অন্তত ৩০ দিন চলা উচিত, যাতে কূটনীতির জন্য প্রকৃত সুযোগ তৈরি হয়।’

সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থহীন। তিনি গত মার্চ মাসে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ৯ মে বিজয় দিবসের প্যারেডে ট্যাংকের প্রদর্শনী না করে পুতিনের উচিত ছিল, কীভাবে এই যুদ্ধ বাস্তবভাবে শেষ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করা।

জেলেনস্কি বলেন, তিনটি বিষয় জরুরি। প্রথমত রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয়ত ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং তৃতীয়ত ইউরোপজুড়ে উল্লেখযোগ্য হারে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করতে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি

কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে ২৮ আগস্ট কানাডা যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রবাসী ভোটারদের সঙ্গে একটি সভায়ও অংশ নেবেন তিনি।

সরকারি এক আদেশে এ সফরের সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. লুৎফুল কবির সরকার তাঁর সফরসঙ্গী হবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো টরন্টো ও অটোয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান এবং কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সূচনা করা।

সিইসি ২৬ আগস্ট অথবা তার কাছাকাছি সুবিধাজনক কোনো তারিখে ঢাকা থেকে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সেখানে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সুবিধা এবং বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

সফর শেষে সিইসি ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ব্যক্তিগত ছুটিতে থাকবেন। এই ছুটির অতিরিক্ত সময়ের সব খরচ তিনি নিজে বহন করবেন। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের এই উদ্যোগকে প্রবাসীদের ভোটাধিকারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। পাশাপাশি এটি ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ