সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ২৪ কোটি টাকার অ্যাপেক্সের শেয়ার পেলেন দুই সন্তান
Published: 5th, May 2025 GMT
চামড়া খাত ও জুতা তৈরির শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর নামে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার তাঁর দুই উত্তরসূরির মধ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী গতকাল সোমবার কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর নামে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ১১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৫টি শেয়ার ছিল। এই শেয়ার তাঁর দুই সন্তান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুরের মধ্যে সমভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে গতকাল অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২০৭ টাকা। সেই হিসাবে প্রয়াত মঞ্জুর এলাহীর নামে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ২৪ কোটি টাকা মূল্যের এই শেয়ারের মধ্যে ১২ কোটি টাকার করে শেয়ার পেয়েছেন নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুর। বর্তমানে নাসিম মঞ্জুর অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুনিজে মঞ্জুর পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার জানিয়েছে, প্রয়াত বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পৌনে ৬ লাখ শেয়ার পাওয়ার ফলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের হাতে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০টি। গতকালের কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অনুযায়ী নাসিম মঞ্জুরের হাতে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের প্রায় ১১ শতাংশ এখন নাসিম মঞ্জুরের হাতে।
এর আগে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রায় ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার পেয়েছেন তাঁর দুই সন্তান। ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা ব্যাংকটির প্রায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার শেয়ারও তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হয়েছিল।
গত ১২ মার্চ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুর আগপর্যন্ত অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তা। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁর সম্পদ ও শেয়ার সন্তানদের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য প ক স ফ টওয় য র র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার ফেরা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাঁকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য কিছু বিষয় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান–বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তার মধ্যে রয়েছে:
• আবদুল্লাহপুর কামারপাড়া ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল।
• ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার।
• উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারীদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউস বিল্ডিং–জমজম টাওয়ার–১২নম্বর সেক্টর খালপাড়–মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন–উত্তরা সেন্টার স্টেশন–মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে ১৮ নম্বর সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন।
• গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রীরা কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১, পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট–উত্তরা যেতে পারবে।
• মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারবে।
• এয়ারপোর্ট, ৩০০ ফিট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন বনানী, কাকলী র্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র্যাম্প, এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।
এ ছাড়া ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনি, জাহাঙ্গীর গেট, সৈনিক ক্লাব, স্টাফ রোড) সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাঁ পাশের সেফ লেন ব্যবহার করে সকাল সাতটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী ট্রেন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রেলওয়ের সব আন্তনগর ট্রেন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী, এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও স্টেশনে ২ মিনিটের জন্য থেমে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর-টঙ্গী রুটে অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেন পরিচালনা করবে।
হজযাত্রীসহ বিদেশগামীদের এয়ারপোর্টে গমনাগমনের ক্ষেত্রে এবং ওই এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাকারীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভ্যর্থনাকারীরা কোনো যানবাহন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান, বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না। তবে এ রাস্তা দিয়ে (জনসমাগম না হলে) সাধারণ যানের সঙ্গে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।