চামড়া খাত ও জুতা তৈরির শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর নামে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার তাঁর দুই উত্তরসূরির মধ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী গতকাল সোমবার কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর নামে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ১১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৫টি শেয়ার ছিল। এই শেয়ার তাঁর দুই সন্তান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুরের মধ্যে সমভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে গতকাল অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২০৭ টাকা। সেই হিসাবে প্রয়াত মঞ্জুর এলাহীর নামে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ২৪ কোটি টাকা মূল্যের এই শেয়ারের মধ্যে ১২ কোটি টাকার করে শেয়ার পেয়েছেন নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুর। বর্তমানে নাসিম মঞ্জুর অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুনিজে মঞ্জুর পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার জানিয়েছে, প্রয়াত বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পৌনে ৬ লাখ শেয়ার পাওয়ার ফলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের হাতে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০টি। গতকালের কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অনুযায়ী নাসিম মঞ্জুরের হাতে থাকা শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের প্রায় ১১ শতাংশ এখন নাসিম মঞ্জুরের হাতে।

এর আগে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রায় ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার পেয়েছেন তাঁর দুই সন্তান। ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা ব্যাংকটির প্রায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার শেয়ারও তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হয়েছিল।

গত ১২ মার্চ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুর আগপর্যন্ত অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তা। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁর সম্পদ ও শেয়ার সন্তানদের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য প ক স ফ টওয় য র র

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ১০ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ। ক্রিকেট বোর্ডের ‘স্বীকৃতি’ পেতে ময়মনসিংহের লাগল ১০ বছর! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল বোর্ড সভায় ময়মনসিংহকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে অন্তর্ভুক্ত করেছে। 

বিভাগীয় মর্যাদা পাওয়ার পর ক্রিকেটে নিজেদের দল চালানোর কথা ছিল ময়মনসিংহের। একাধিকবার আবেদন, সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠানো, মানববন্ধন, ক্রিকেটের বিভিন্ন আয়োজনে জোরাল দাবি সহ সবই করেছে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড ময়মনসিংহকে আপন করে নিয়েছে। 

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের বড় ধৈর্যর প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ বিভাগ লিগে অংশ নেবে। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি আসর রয়েছে। তবে আট দলের এই প্রতিযোগিতার সব আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলা হবে না ময়মনসিংহের। সাদা পোশাকেই দলটিকে প্রথমবার দেখা যাবে।  

আরো পড়ুন:

প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে: আসিফ

অচলায়তন ভেঙে সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় কোয়াব

ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লিগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম‌্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, ‘‘ময়মনসিংহ বিভাগ আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ময়মনসিংহকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’’ 

ঢাকা মেট্রোকে বাদ দিয়ে ময়মনসিংহকে নেওয়ার কারণ ব‌্যাখ‌্যা করতে গিয়ে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম‌্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, “২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই একই কারণে সমানসংখ্যক দল রাখতে একটি দল কমানো হচ্ছে।”

টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো এবং মান ধরে রাখার জন‌্য সব চেষ্টা বিসিবি করছে জানিয়ে নাজমুল আবেদীন যোগ করেন, ‘‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।”

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ