Samakal:
2025-10-03@05:36:21 GMT

এ সময় পোষা প্রাণীর যত্ন

Published: 6th, May 2025 GMT

এ সময় পোষা প্রাণীর যত্ন

গ্রীষ্মের তাপদাহে মানুষের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি বাড়ির পোষা প্রাণীরও কষ্ট হয়। নেহাত বোবা প্রাণী বলে তারা কষ্টটুকু প্রকাশ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর যত্নে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই বাড়িতে বিড়াল পালেন। গরমে বিড়ালের স্বাস্থ্যের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। 
বিড়ালের নিয়মিত গোসল
সাধারণত বিড়ালকে মাসে একবার গোসল করানোই যথেষ্ট। তবে গরমকালে সপ্তাহে একদিন গোসল করানো যেতে পারে। গোসল করানোর সময় বিড়ালের জন্য তৈরি করা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোয় বিড়ালকে নিয়মিত ব্রাশ করে দিন। গরম কমাতে ভেজা তোয়ালে দিয়ে বিড়ালের গা মুছে দিতে পারেন। শরীর পরিষ্কার থাকলে বিড়াল এ গরমেও আরাম পাবে। 
লোম ছেঁটে দিন
কিছু কিছু বিড়ালের গরম বেশি লাগে। বিশেষ করে লম্বা লোমওয়ালা বিড়াল, বিদেশি বিড়াল, ছোট মুখওয়ালা (যেমন পার্সিয়ান) বিড়াল। গরম এলে এদের লোম ছেঁটে দেওয়াটা উপকারী। এতে তাদের গরম কম লাগবে। চাইলে ট্রিমার ব্যবহার করে নিজে বাড়িতে বসে বিড়ালের লোম ছেঁটে দিতে পারেন। নিজে থেকে সাহস করতে না পারলে আপনার পশু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা বাড়ি এসে বিড়ালের লোম ছেঁটে দেওয়া, নখ কেটে দেওয়া ও কান পরিষ্কার করে দেওয়ার মতো সেবা দেয়। 
ভরদুপুরে বাইরে যেতে দেবেন না
অনেকের বিড়াল বাড়িতে থাকে সবসময়, তাদের ক্ষেত্রে এ দুশ্চিন্তা করতে হবে না। যাদের পোষা বিড়াল বাইরে যাতায়াত করে, তারা এ যাতায়াতের সময়টায় বিড়ালের ওপর লক্ষ্য রাখবেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সূর্যের উত্তাপ থাকে চড়া, এ সময় বিড়ালকে বাইরে যেতে না দেওয়াই ভালো। 
পানির অভাব হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন 
বিড়াল এমনিতেই পানি পান করতে চায় না। গরমের সময় পানি পান করাটা তাদের জন্য খুব বেশি জরুরি। এ জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে বেশি বেশি পানি পান করানোর চেষ্টা করুন। যে পাত্র থেকে বিড়াল পানি খায়, সে পাত্রটি পরিষ্কার রাখুন এবং হালকা ঠান্ডা পানি দেওয়ার চেষ্টা করুন। 
অনেক সময় বিড়াল পানির কল থেকে পান করতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে পানির কল খুব অল্প করে খুলে রাখুন; যাতে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ে এবং আপনার বিড়াল সেই পানি পান করতে উৎসাহী হয়। 
শুধু পানি পান করতে না চাইলে পানির সঙ্গে অল্প করে টুনার রস মিশিয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া এ সময়টায় শুকনো খাবারের বদলে ভেজা খাবার দিতে পারেন তাকে। এতে পানির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়। 
ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচল করতে দিন
পোষা বিড়ালকে আদর করে এয়ার কন্ডিশনারের বাতাসে রাখতে হবে– এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়ির ভেতরে যেন পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে এমন ব্যবস্থা করুন। ফ্যানের বাতাসে বিড়াল আরাম পাবে। খুব বেশি গরম পড়লে ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন, তাতে বাতাস ঠান্ডা হয়ে আসবে। 
গরমে বিড়াল অসুস্থ হয়ে পড়লে
মানুষের মতো বিড়ালেরও হতে পারে হিটস্ট্রোক। আপনার যদি মনে হয় বিড়ালটি গরমে অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তার শরীরের তাপমাত্রা বেশি কিনা লক্ষ্য রাখুন। এ ছাড়া যদি খেয়াল করেন বিড়ালটি জিহ্বা বের করে হাঁপাচ্ছে অথবা তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তবে অবশ্যই দ্রুত পশু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। 

সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ন করত প ন কর ব ড় লক ল কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হয়েছেন।  

চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমও মণ্ডপে ঘুরে বেরিয়ে সেই আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। পূজার কেনাকাটা বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পূজার জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। কিছু শাড়ি পছন্দ করেও রাখছিলাম। পরে অনেকগুলো শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছি। প্রতিবছর এমনই হয়, অনেক শাড়ি পাই। আমি কিছু কেনার আগেই সবাই উপহারগুলো দিয়ে থাকেন। সবগুলোই আমার পছন্দের রঙের। এটা আমার কাছে বিশেষ সারপ্রাইজের মতো।” 

আরো পড়ুন:

তারাদের ভার্চুয়াল কলমে বৈশাখের শুভেচ্ছা

মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ার আনন্দ অন্যরকম ছিল: মিম

পূজার সময়টা ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই রাজশাহী আসা হয়। এটা আমার পছন্দের জায়গা। আজই আবার ঢাকায় ফিরব। পরে যেতে হবে কুমিল্লায়। দুর্গাপূজার শেষ সময় ছুটোছুটির মধ্য দিয়েই কেটে যায়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতেই সময়টা কেটে যায়। এটাও বেশ উপভোগ করি।” 

শৈশবের পূজায় প্রণামি ঘিরে অনেক মজার ঘটনা ঘটত। এ বিষয়ে মিম বলেন, “এটা সালামির মতোই। আগে সবার কাছে গিয়ে প্রণামি চাইতাম। কেউ কম দিলে নিতাম না। কেউ কেউ অনেক টাকা দিতেন। সেগুলো জমাতাম। এখন শৈশবের মতো আবদারের বিষয় থাকে না। বড়রা এমনিতেই প্রণামি দেয়। তবে এখন আমাকেই বেশি দিতে হয়।” 

পূজার জন্য অপেক্ষার বিশেষ কারণ ব্যাখ্যা করে মিম বলেন, “সাজপোশাক তো থাকেই। তবে আলাদা আকর্ষণ থাকে নানা রকম খাবার নিয়ে। এই সময়টা পছন্দের খাবার বেশি রান্না করা হয়। এগুলো বেশ উপভোগ করি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা