গাছের ডাল কাটা নিয়ে ঝগড়ার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত
Published: 7th, May 2025 GMT
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আমগাছের ডাল কাটা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে প্রতিপক্ষের মারধরে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবুল কাশেম (৬৫)। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কেশারপাড় ক্লাবঘর এলাকায় ওই বৃদ্ধের ওপর হামলা হয়।
নিহত আবুল কাশেম সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় গ্রামের ক্লাবঘর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি আমগাছের ডাল কাটা নিয়ে আবুল কাশেমের সঙ্গে এক প্রতিবেশীর ঝগড়া হয়। গ্রামবাসীর মধ্যস্থতা করে দুজনকে শান্ত করেন। এর জেরে ওই প্রতিবেশীসহ কয়েকজন আজ সকাল ছয়টার দিকে আবুল কাশেমের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। আবুল কাশেম তখন স্থানীয় একটি দোকান থেকে নাশতা কিনে ফিরছিলেন।
প্রতিপক্ষের মারধরে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবুল কাশেম নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর গ্রামে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় মো. ওয়াসিমকে আটক করা হয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আমগাছের ডাল কাটা নিয়ে আগের দিনের ঝগড়ার জেরে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর কাশেমের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় কাশেমের বাম চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।