ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্সে চলছে পোপ নির্বাচনের গোপন ভোট। ক্যাথিলিক খ্রিষ্টান কার্ডিনালরা ভোটাভুটির মাধ্যমে একজনকে বাছাই করলে সেই তথ্য উপস্থিত উৎসুক ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের জানাতে দুটি চিমনি ব্যবহার করা হয়। একটি দিয়ে সাদা ধোঁয়া, অন্যটি দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হয়। যদি সাদা ধোঁয়া বের হয়, তাহলে বোঝা যাবে পোপ নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছেন কার্ডিনালরা। 

সাদা ধোঁয়ার সংকেত দেওয়ার পর নতুন পোপের নাম ঘোষণা করা হয়। দুটি চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার সাক্ষী হতে ভ্যাটিকান সিটিতে ভিড় করেছে হাজার হাজার মানুষ। সবাই অপেক্ষা করছেন প্রথম ব্যালটের ফলাফলের জন্য।

পোপ নির্বাচনে প্রার্থিতা করা কার্ডিনালদের নামে গোপন ব্যালটে ভোট হয়। প্রথম ব্যালটের ভোটে যদি একজনই সর্বোচ্চ সংখ্যাক কার্ডিনালের ভোট পেয়ে যান, তাহলে চিমনিতে সাদা ধোঁয়া ছেড়ে তা ক্যাথলিক বিশ্বাসীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে সাধারণত, প্রথম ব্যালটে সমাধান আসে না।  

এই প্রক্রিয়াটি ঐতিহাসিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পোপ হলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু। পবিত্র বাইবেলের বাণী মেনে চলার পাশাপাশি পোপের আদেশ-উপদেশও মেনে চলার প্রথা রয়েছে ক্যাথলিক বিশ্বাসীদের মধ্যে। ফলে পোপ নির্বাচিত হওয়ার মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে কোটি কোটি চোখ তাকিয়ে রয়েছে একটি চিমনির ওপর। সবার অপেক্ষা, কখন সাদা ধোঁয়া বের হবে।

২১ এপ্রিল মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। সংস্কার ও সংশোধনবাদী পোপ ফ্রান্সিস ক্যাথলিকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। আজ তার উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চয়নিকা চৌধুরী

চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দুই দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করায় জামিন পেয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. বুলবুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে, গত ৬ মে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চয়নিকা চৌধুরী। তবে পূর্বের ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে তিরস্কার করেন বিচারক। পরে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৩ সালের ১৪ মে এই মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ। এ মামলার পর ২০১৪ সালে ২ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চয়নিকা চৌধুরী। ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চয়নিকা চৌধুরীর মাধ্যমে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ 'জীবন সুন্দর হোক' নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এজন্য ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন বাদী। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চয়নিকা বাদী রিয়াজকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামি চুক্তিবদ্ধ হয়েও নাটক নির্মাণ করেননি। যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৩ সালের জানুয়ারি চেক নগদায়ন করতে অনুরোধ করেন। পরে একাধিকবার টাকা নগদায়ন করতে গেলে চেক ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ