ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চিতি ঘাটতি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা
Published: 8th, May 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকটি ২০ বছর সময় চেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে। অর্থাৎ আগামী ২০ বছরে ধাপে ধাপে তারা ঘাটতি পূরণ করতে চায়।
দেশের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক এত বড় অঙ্কের প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েনি। ইসলামী ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৪২ শতাংশ। পরিদর্শনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানো তথ্যে ইসলামী ব্যাংক খেলাপি ঋণ দেখিয়েছিল এর অর্ধেকেরও কম। খেলাপি ঋণের প্রকৃত অঙ্ক বের হয়ে আসায় নিয়ম অনুযায়ী প্রভিশন সংরক্ষণের অঙ্কও বেড়ে গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকটির শুধু চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, পরিদর্শনে ইসলামী ব্যাংকের বিগত কয়েক বছরের পুঞ্জীভূত অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণের খেলাপি ঋণ উদ্ঘাটিত হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকটি সময় চেয়ে আবেদন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানিসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য অংশ হয় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রবাসী আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে এ ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রভিশন বা মূলধন ঘাটতি থাকলে ঋণপত্র বা এলসি খোলার কনফারমেশন চার্জ বেড়ে যায়। অনেক সময় বিদেশি ব্যাংক সরাসরি ওই ব্যাংকের এলসি নিতে চায় না। তখন তৃতীয় একটি ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে এলসি খুলতে হয়। এসব বিবেচনায় প্রভিশন সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টির মধ্যে ২০টি ব্যাংকই প্রভিশন সংরক্ষণে সময়সহ বিভিন্ন সুবিধা চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। ইসলামীসহ এসব ব্যাংকের বিষয়ে একবারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
আমানতের সুরক্ষা দিতে সব ঋণের শ্রেণিমান বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর মুনাফা থেকে নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়। বর্তমানে নিয়মিত ঋণের প্রভিশন রাখতে হয় ১ শতাংশ। তিন মাস পর্যন্ত বকেয়া তথা স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট হিসেবে শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ রাখতে হয়। তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণে ২০ শতাংশ এবং ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ডাউটফুল বা সন্দেহজনক মানে শ্রেণীকরণের বিপরীতে ঋণের ৫০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। আর এক বছর বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ মন্দ ঋণে প্রভিশন রাখতে হবে শতভাগ। ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফা বা উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া মূলধন থেকে এ প্রভিশন রাখার নিয়ম। প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার মানে আমানতকারীদের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া এবং ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল হওয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ইসলামী ব্যাংক ডিসেম্বরভিত্তিক যে তথ্য জমা দিয়েছিল, সেখানে খেলাপি ঋণ দেখানো হয় ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। এটি বিতরণ করা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা ঋণের ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে নতুন করে আরও ৩২ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ উদ্ঘাটিত হয়। ব্যাংকটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের ৪২ দশমিক ২২ শতাংশ।
খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের ‘নন-ফান্ডেড’ দায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে ‘ফান্ডেড’ করা হয়েছে। যে কারণে এখন সঞ্চিতি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটিকে ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া তথ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজনীতা দেখানো হয়েছিল ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আর সংরক্ষণের পরিমাণ দেখানো হয় ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। তখন ১৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হয়।
প্রভিশনের আগের হিসাব ধরে ইসলামী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দেখানো হয় ১২ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় মূলধন ঘাটতি ৭০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকবে। ব্যাংকটির আবেদন অনুযায়ী প্রভিশন সংরক্ষণে ২০ বছর সময় দিলে এখনই আর মূলধন ঘাটতি দেখাতে হবে না। প্রভিশনে ডেফারেল পেলে প্রকৃত অবস্থা যা-ই থাকুক, ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা তখন কাগজ-কলমে তুলনামূলক ভালো দেখা যাবে।
প্রতিটি ব্যাংকের ডিসেম্বরভিত্তিক বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন পরবর্তী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। প্রথমে ব্যাংক প্রতিবেদন তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেয়। এর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ এবং বহির্নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অডিট করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনের সময় ব্যাংকের ঋণের গুণগত মান, প্রয়োজনীয় প্রভিশন, মূলধন পর্যাপ্ততা এবং মুনাফা বা লোকসানসহ বিভিন্ন সূচকের সঠিকতা দেখা হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ‘কুইক সামারি’ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে অন্য সব সূচক খারাপ হয়। গত সরকারের সময়ে বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে খেলাপি ঋণের আসল চিত্র আড়াল করা হতো। আবার পরিদর্শনের সময়ও শিথিলতা দেখানো হতো। এখন কোনো শিথিলতা দেখাচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বরং খেলাপি ঋণ ছাড়াও অন্য ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ধার দেওয়া অনাদায়ী অর্থ, আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে নিয়মিত রাখা ঋণেও প্রভিশন রাখতে বলা হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোর আসল চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুকের সঙ্গে গত সোমবার থেকে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। দু’জনকে সুনির্দিষ্ট বিষয় জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তারা কোনো জবাব দেননি। ওমর ফারুকের সাক্ষাৎ চাইলে মঙ্গলবার তিনি টেলিফোনে সমকালকে বলেন, ‘আমি আপনাকে পরে ফোন করছি।’ এর পর কয়েক দফা ফোন এবং সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা দেওয়া হয়। তিনি কোনো জবাব দেননি।
খাতুনগঞ্জ শাখায় ৪২ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র এক হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব য ক ব ল দ শ ল ম ট ড ণ র ব পর ত খ ত নগঞ জ ড স ম বর আর থ ক অন য য় র সময় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মেসির ৩৮তম জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর ৩৮ রেকর্ড
৩৮ বছর পূর্ণ করলেন লিওনেল মেসি। ৩৮ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে জেতানো এই মহাতারকার জন্য এই জন্মদিন একটু বিশেষই। বিশ্বকাপ জেতার পর এটিই যে তাঁর প্রথম জন্মদিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া মেসির ক্লাব ফুটবলে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আর জাতীয় দলের হয়ে মেসি প্রথম ম্যাচ খেলেন পরের বছর। ক্লাব ফুটবলে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে। তবে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ক্যারিয়ারে উত্থান-পতনের মুহূর্ত এসেছে, এমনকি জাতীয় দলকে বিদায়ও বলে দিয়েছিলেন। এরপর অবশ্য দেশ ও ভক্তদের ডাকে আবার ফিরে এসেছেন। রূপকথার গল্প লিখে গত বছর আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সোনার ট্রফিটিও। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে মেসি নিজেকে রেকর্ডের বরপুত্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ছোট-বড় অসংখ্য রেকর্ড। মেসির ৩৮তম জন্মদিনে তাঁর ৩৮টি রেকর্ড নিয়ে এ আয়োজন।১ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৮টি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে ৩টি বেশি। ২মেসি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে দুবার গোল্ডেন বল জিতেছেন। প্রথমবার জিতেছিলেন ২০১৪ সালে। আর দ্বিতীয়টি জিতলেন ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে।৩বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৭৮) এবং সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হলেন মেসি (৬৭২)। এক ক্লাবের হয়ে এত গোল আর কোনো খেলোয়াড় করেননি।৪লা লিগায় সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও মেসি। স্পেনের শীর্ষ লিগে মেসির গোলসংখ্যা ৪৭৪। ১৭ বছর ধরে এই গোলগুলো করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।৫লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ গোলের মালিকও মেসি। ২০১১-১২ সালে এই কীর্তি গড়েন মেসি।৬লা লিগায় সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের মালিকও মেসি। এই লিগ ১৭ বছর খেলে ১৯২টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই মহাতারকা। এ ছাড়া এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২১টি অ্যাসিস্টের রেকর্ডও আছে মেসির দখলে।৭লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬টি হ্যাটট্রিক আছে মেসির দখলে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ৮ হ্যাটট্রিক নিয়ে রোনালদোর সঙ্গে সবার ওপরে আছেন মেসি।৮এত পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক মেসি। ২০১২ সালে মেসি একাই করেছিলেন ৯১ গোল, যেখানে বার্সেলোনার হয়ে করেছিলেন ৭৯ গোল, আর আর্জেন্টিনার হয়ে তাঁর গোল ছিল ১২টি।৯এল ক্লাসিকোতে সবচেয়ে বেশি ৪৫ ম্যাচে ২৬ গোল করে সবার ওপরে অবস্থান করছেন মেসি। ৩০ ম্যাচে ১৮ গোল করে দুইয়ে আছেন রোনালদো।১০বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড মেসির। বার্সার হয়ে ৫২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।১১নন-স্প্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১০টি লিগ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় মেসি।১২দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১২ গোল আছে মেসির দখলে। আর সব মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে গোলে মেসির অবস্থান ২ নম্বরে। তাঁর চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল রোনালদো (১২৩)।১৩প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করেছেন মেসি। ২০১১-১২ মৌসুমে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছিলেন মেসি।১৪চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব (৮০) ও শেষ ষোলোয় (১৬) সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন মেসি। তবে নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল রোনালদোর।১৫চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক মেসি (৭৮)। অ্যাওয়েতে অবশ্য এ তালিকায় শীর্ষে আছেন রোনালদো (৬৩)। এ ছাড়া একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৪০টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করার কৃতিত্বও আছে মেসির।১৬চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকার গোল ১২০টি।১৭২০০৫-০৬ থেকে ২০২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত টানা ১৮টি চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরে গোল করেছেন মেসি। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে সেটিও একটি রেকর্ড।১৮ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলও এখন মেসির (৪৯৬)।১৯ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়েও সবার ওপরে অবস্থান করছেন মেসি। সাবেক বার্সেলোনা তারকা সর্বোচ্চ ৬ বার এই পুরস্কার পেয়েছেন।২০লা লিগায় মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার পিচিচি ট্রফি সবচেয়ে বেশি ৮ বার জিতেছেন মেসি।২১লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ৩০০ ম্যাচে গোল করেছেন মেসি। ২০০৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড়েছেন এ রেকর্ড।২২লা লিগায় এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোল করা খেলা খেলোয়াড় হলেন মেসি। ২০১২-১৩ মৌসুমে ৩৮ ম্যাচের ২৭টিতেই লক্ষ্যভেদ করেছেন মেসি।২৩বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৩১৪ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি।২৪উয়েফার প্রতিযোগিতায় এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৩ গোল করেছেন মেসি।২৫পাঁচটি বিশ্বকাপে গোলে সহায়তা করা একমাত্র খেলোয়াড় এখন মেসি।২৬আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি।২৭বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার কৃতিত্ব গড়েছেন মেসি। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা মেসি গোল করেছেন ১৮ বছর ৩৫৭ দিনে।২৮আর্জেন্টিনার হয়ে ৪টি আলাদা বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় হলেন মেসি।২৯বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হলেন মেসি। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ২৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এই আর্জেন্টাইন।৩০একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন মেসি।৩১আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে ১৩ গোল করেছেন মেসি।৩২বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১টি গোলে জড়িয়ে আছে মেসির নাম (১৯৬৬ বিশ্বকাপ থেকে রেকর্ড রাখার পর)। সব মিলিয়ে ১৩টি গোল এবং অন্য ৮টিতে সহায়তা আছে তাঁর।৩৩খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি শিরোপা জিতেছেন মেসি।৩৪টানা ৪টি ব্যালন ডি’অর জেতা একমাত্র ফুটবলার হলেন মেসি।৩৫অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৯ ম্যাচ খেলেছেন মেসি।৩৬বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকা খেলোয়াড় মেসি। তিনি মাঠে ছিলেন ২ হাজার ৩১৪ মিনিট। মেসির পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি, যিনি সব মিলিয়ে ২ হাজার ২১৭ মিনিট মাঠে ছিলেন।৩৭চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ গোল করতে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলা ফুটবলার হলেন মেসি। ১২৩ ম্যাচে গোলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন তিনি।৩৮ইন্টার মায়ামির সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। ক্লাবটির প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ গোলের মাইলফলক।