১. পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযান—
ক. পাহাড়ি শান্তি মিশন
খ. অপারেশন উত্তরণ
গ. অপারেশন দলবদ্ধ বাহিনী
ঘ. অপারেশন দাবানল
উত্তর: খ. অপারেশন উত্তরণ
২. ‘দ্রুজ’ সম্প্রদায়ের মূল আবাসভূমি কোন অঞ্চলে?
ক.

সিরিয়া, লেবানন
খ. পাকিস্তান, আফগানিস্তান
গ. ইরান, তুর্কমেনিস্তান
ঘ. নেপাল, ভারত
উত্তর: ক. সিরিয়া, লেবানন
৩. বৌদ্ধ সভ্যতার জন্য বিখ্যাত ‘তক্ষশীলা’ বর্তমানে কোন দেশের অংশ?
ক. নেপাল
খ. ভারত
গ. ভুটান
ঘ. পাকিস্তান
উত্তর: ঘ. পাকিস্তান

৪. ‘নাগরীলিপি’ মূলত কোন এলাকার প্রচলিত ভাষার লিখিত রূপ?
ক. সিলেট
খ. চট্টগ্রাম
গ. রংপুর
ঘ. খুলনা
উত্তর: ক. সিলেট

আরও পড়ুনজাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন২ ঘণ্টা আগে

৫. প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালিত হয়—
ক. ৩ এপ্রিল
খ. ৩ মে
গ. ৭ মে
ঘ. ২ আগস্ট
উত্তর: খ. ৩ মে
৬. কুমিল্লা জেলার মোট কয়টি পণ্য ‘জিআই পণ্য’–এর  স্বীকৃতি পেয়েছে?
ক. ১টি
খ. ৩টি
গ. ২টি
ঘ. ৪টি
উত্তর: গ. ২টি (রসমালাই ও খাদি)
৭. সম্প্রতি ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে একই দিনে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট লাভ করেছেন—
ক. রবীন্দ্র জাদেজা
খ. শাদাব খান
গ. মেহেদী হাসান মিরাজ
ঘ. গ্লেন ফিলিপস
উত্তর: গ. মেহেদী হাসান মিরাজ (টেস্ট ক্রিকেটে একই দিনে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট উদ্‌যাপন করা দুজন খেলোয়াড়—ইয়ান বোথাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ)

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬২২৩ এপ্রিল ২০২৫

৮. সম্প্রতি কোন দেশের প্রেসিডেন্টের ১৫ ঘণ্টার ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছেন?
ক. মালদ্বীপ
খ. শ্রীলঙ্কা
গ. ইউক্রেন
ঘ. রোমানিয়া
উত্তর: ক. মালদ্বীপ
৯. সিন্ধু নদের উৎপত্তি কোন দেশে?
ক. চীন
খ. ভারত
গ. নেপাল
ঘ. আফগানিস্তান
উত্তর: ক. চীন (তিব্বত মালভূমিতে মানস সরোবরের কাছে সিন্ধু নদের উৎপত্তি)
১০. বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)’ কোন দেশভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান?
ক. যুক্তরাজ্য
খ. জার্মানি
গ. নরওয়ে
ঘ. ফ্রান্স
উত্তর: ঘ. ফ্রান্স (সদর দপ্তর: প্যারিস, ফ্রান্স)

১১. বাংলাদেশের জাতীয় দুর্যোগের তালিকায় ‘বজ্রপাত’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়—
ক. ২০০৯ সালে
খ. ২০১৩ সালে
গ. ২০১৬ সালে
ঘ. ২০১৯ সালে
উত্তর: গ. ২০১৬ সালে
১২. রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘টার্ন টেবিল’ উদ্ভাবন করেন—
ক. প্রকৌশলী আবু নাসের
খ. প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু
গ. প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন
ঘ. প্রকৌশলী আবদুল মান্নান
উত্তর: খ. প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু
১৩. দেশে প্রথমবারের মতো কোন জেলার দুটি জলাভূমিকে ‘জলাভূমিনির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে?
ক. রাজশাহী
খ. সিরাজগঞ্জ
গ. সুনামগঞ্জ
ঘ. চাঁদপুর  
উত্তর: ক. রাজশাহী (ঘোষণা করা অভয়ারণ্য দুটি হলো রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিলজোয়ানা এবং অন্যটি একই জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বিলভালা)

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন০১ মে ২০২৫

১৪. ‘মিগ’ যুদ্ধবিমান কোন দেশের তৈরি?
ক. ফ্রান্স
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. রাশিয়া
ঘ. জাপান
উত্তর: গ. রাশিয়া (রাফাল যুদ্ধবিমান: ফ্রান্স)
১৫. এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
ক. টোকিও, জাপান
খ. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
গ. সিঙ্গাপুর সিটি, সিঙ্গাপুর
ঘ. বেইজিং, চীন
উত্তর: ঘ. বেইজিং, চীন
১৬. তোরখাম সীমান্তক্রসিং কোনো দুটি দেশের মধ্যে অবস্থিত?
ক. ভারত–পাকিস্তান
খ. সিরিয়া–ইসরায়েল
গ. নেপাল–চীন
ঘ. পাকিস্তান–আফগানিস্তান
উত্তর: ঘ. পাকিস্তান–আফগানিস্তান
১৭. সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সেনাসদস্য নেওয়ার ঘোষণা দেয় কোন দেশ?
ক. সৌদি আরব
খ. বাহরাইন
গ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঘ. কাতার
উত্তর: ঘ. কাতার

১৮. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্যে কত সাল পর্যন্ত ওষুধের কপিরাইট আইন বা মেধাস্বত্বের ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে?
ক. ২০২৮ সাল
খ. ২০৩৩ সাল
গ. ২০৩৫ সাল
ঘ. ২০৪০ সাল
উত্তর: খ. ২০৩৩ সাল
১৯. ‘রকেটসান’ কোন দেশের অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান?
ক. রাশিয়া
খ. ফ্রান্স
গ. তুরষ্ক
ঘ. জার্মানি
উত্তর: গ. তুরস্ক
২০. বিরল খনিজ উৎপাদন ও মজুতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ—
ক. ইউক্রেন
খ. রাশিয়া
গ. যুক্তরাষ্ট্র
ঘ. চীন
উত্তর: ঘ. চীন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি

ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ করা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরী। 

রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মেহজাবীন চৌধুরীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার। 

আরো পড়ুন:

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে যা বললেন মেহজাবীন

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মেহজাবীন চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে এ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন এই অভিনেত্রী।    

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সি ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত নয় মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি, কারণ অভিযোগকারী পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি। তিনি দাবি করেন যে, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আমার সাথে ‘ব্যবসা’ করছিলেন।”  

মেহজাবীন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি অভিযোগকারী। এ বিষয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “তবে যোগাযোগের কোনো প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, ‘তিনি ২০১৬ সাল থেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতেন। কিন্তু তিনি যা দেখাতে পারেননি।’ একটি মেসেজ যেটা তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন মেসেজের, হোয়াটসঅ্যাপ বা আমার নম্বরে, কিংবা আমার পক্ষ থেকে একটি উত্তর, এমনকি একটি স্ক্রিনশটও না।” 

অভিযোগকারীর পরিচয় অসম্পূর্ণ। এ তথ্য উল্লেখ করে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “তার পরিচয় অসম্পূর্ণ। তার সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র এখনো জমা দেয়া হয়নি। তার এনআইডি পর্যন্ত অনুপস্থিত। অভিযোগকারী ও তার আইনজীবী ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। গতকাল খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অভিযোগকারী তার ফোন বন্ধ করে রেখেছেন, এমনকি তার আইনজীবীর নম্বরও বন্ধ।” 

আর্থিক লেনদেনের কোনো নেই। মেহাজাবীনের ভাষায়, “আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ নেই। তিনি দাবি করেন যে, তিনি আমাকে ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি—কোনো ব্যাংক লেনদেন, কোনো চেক, বিকাশ লেনদেন, কোনো লিখিত চুক্তি, কোনো রশিদ, কোনো সাক্ষী, কিছুই না। একটি কাগজপত্রও নেই।” 

অপহরণের অভিযোগের বিষয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “১১ ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি সম্পূর্ণ প্রমাণহীন। তিনি দাবি করেন ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাকে চোখ বেঁধে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলাম, আমার ছোট ভাইসহ আরো ৪–৫ জনকে নিয়ে। গত নয় মাসে তিনি দেখাতে পারেননি রেস্টুরেন্ট বা আশেপাশের রাস্তার এক সেকেন্ডেরও সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো সাক্ষী, কোনো প্রমাণ, কিছুই না। হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা, তবু তিনি একটি ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেননি।” 

মামলা হওয়ার পর ৯ মাস কেটে গেলেও কোনো নোটিশ পাননি মেহজাবীন চৌধুরী। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত নয় মাসে আমি কোনো নোটিশ পাইনি। এই নয় মাসে আমি কোনো পুলিশ স্টেশনের ফোন কল, কোনো কোর্টের নোটিশ বা ডকুমেন্ট। একটি নোটিশ পেলেও আমি অনেক আগে থেকেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।” 

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন মেহজাবীন। তার ভাষায়, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও, যখন জানতে পারলাম যে একটি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি। কারণ আমি আমাদের আইন ও নিয়ম মানি। প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখনকার দিনে কাউকে অপমান করা, মানহানি করা বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যে উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে, সে যা-ই করতে চায়—আমি বিশ্বাস করি সবকিছু খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।” 

অনুরোধ জানিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “এর আগ পর্যন্ত আমি সবাইকে অনুরোধ করব—দয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, দয়া করে মানবিক হোন এবং কাউকে না জেনে কোনো মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করবেন না। গত ১৫ বছর ধরে আমি আমার কাজ, আমার পেশা এবং আমার দর্শকদের জন্য যে পরিমাণ পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দিয়ে এসেছি, সেই পরিশ্রমের পরেও আজ আমাকে এসব ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে—এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি