বাজারে এলো ৩-প্লাই বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু
Published: 8th, May 2025 GMT
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা টিস্যু তাদের নতুন পণ্য ‘৩-প্লাই বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু’র উদ্বোধন করেছে।
সম্প্রতি বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার্সের লেভেল-৫-এর ট্রেনিং হলে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নতুন এই টয়লেট টিস্যুটি তিনটি স্তরে (৩-প্লাই) প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অতিরিক্ত মসৃণতা, দৃঢ়তা এবং শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করে। আধুনিক জীবনের স্বাস্থ্যবিধি ও আরামের কথা মাথায় রেখে এটি প্রিমিয়াম মানের একটি পণ্য হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ সেলস অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং, সেক্টর-সি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং, সেক্টর-সি) ইমরানুল কবিরসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
‘বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যু ৩-প্লাই’ বাজারে নতুন একটি মানদণ্ড স্থাপন করবে এবং প্রতিদিনের ব্যবহারে ভোক্তাদের গুণগত ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর টয়ল ট ট স য
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে ‘চাচাতো ভাইদের হামলায়’ আহত একজনের মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় হামলায় আহত এক কৃষক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, চাচাতো ভাই ও ভাতিজারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন।
মৃত সৈয়দ টোকন আলীর (৬০) বাড়ি করফা গ্রামে। তিনি পেশায় কৃষক। এ ঘটনায় আহত টোকনের দুই ছেলে সৈয়দ রাজু ও সৈয়দ রুবেল এবং এক পুত্রবধূ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে টোকন আলীর বাড়ির ওপর দিয়ে ভ্যান নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলেরা। এ সময় তাঁদের ভ্যান নিতে নিষেধ করেন টোকনের স্ত্রী। তখন টোকনের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর কিছু সময় পর টোকন ও তাঁর দুই ছেলে রাজু এবং রুবেল মাঠ থেকে বাড়িতে ফিরলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান টোকনের চাচাতো ভাই ফেরদৌস, রিজ্জাক, এরদাউস ও ভাতিজা রহিম, করিম, রহমত, হৃদয় আলীসহ বাড়িতে থাকা ধান কাটার শ্রমিকেরা। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন টোকন, তাঁর দুই ছেলে এবং এক পুত্রবধূকে। পরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাতে টোকনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাঁকে অন্যত্র নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর টোকনকে প্রথমে যশোর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে বাড়ির ওপর দিয়ে ভ্যান নেওয়ায় টোকনের স্ত্রীর সঙ্গে ফেরদৌসদের পরিবারের সদস্যদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যার পর বাড়ি এসে ঘটনা শুনে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে টোকন চাচাতো ভাইদের কাছে যান বিষয়টি জানতে। এ সময় ফেরদৌসদের হামলায় টোকনসহ তাঁদের পরিবারের চারজন এবং ফেরদৌসদের পরিবারের একজন আহত হন। টোকনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আজ তিনি মারা গেছেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।