পাকিস্তানের ৪টি ও ভারতের কমপক্ষে ২১ বিমানবন্দর বন্ধ
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুইটির কয়েকটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়- ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোট বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্দ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ভারত বিমান হামলা চালানোর পর, দেশটির আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল, কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা আবার চালু করা হয়।
অন্যদিকে ভারতের উত্তরাঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। বন্ধ রাখা বিমানবন্দরগুলো ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির ছাড়াও পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের বলে জানা গেছে।
বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের নিচে চাপা পড়ে কিশোর নিহত
গাজা উপত্যকায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণবোঝাই বাক্সের নিচে চাপা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার গাজার নেতজারিম করিডরের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরের নাম মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ।
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর দখল করতে ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।ভিডিওতে দেখা গেছে, গতকাল গাজার নেতজারিম করিডরের কাছে কিশোর ঈদের চারপাশে কয়েকজন মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। কেউ কেউ ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। তার মুখ রক্তাক্ত ছিল। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে আল–জাজিরা।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কিশোরের ভাই তাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তার বাবা নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে তার মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে আছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ঈদের ভাই বলেন, তাঁর ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল। উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলা হচ্ছিল। ওই সময় একটি বাক্স সরাসরি তাঁর ভাইয়ের ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়।
ঈদের ভাই আরও বলেন, ‘তারা (যে দেশগুলো সাহায্য পাঠাচ্ছে) সীমান্ত দিয়ে সরাসরি সাহায্য দিতে পারছে না। তারা ওপর থেকে ত্রাণের বোঝা ফেলছে। এতে আমাদের শিশুরা মারা যাচ্ছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ১১ জন ফিলিস্তিনি অনাহারের কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২১২–তে দাঁড়িয়েছে।জাতিসংঘ বারবার বলেছে, উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলাটা বিপজ্জনক। এগুলো কার্যকরও নয় এবং এতে খরচও বেশি। গাজায় স্থলসীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে দেওয়ার জন্য বারবার ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলো বলেছে, গতকাল গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ১১ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২১২–তে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৮টিই শিশু।