কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় অটোরিকশার এক যাত্রীও গুরুতর আহত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসদরের বরাটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বীর পাকুন্দিয়া গ্রামের নয়াবাড়ির বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিনের ছেলে হাসিবুল ইসলাম শোভন (১৯) এবং  মধ্য পাকুন্দিয়া গ্রামের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছর উদ্দিন মানিকের ছেলে আনছার উদ্দিন আহাম্মদ (২০)। তারা দুজনই পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী করিমগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে নাজিম গুরুতর আহত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে গাছে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ৩ 

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা: যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, কলেজ শিক্ষার্থী শোভন এবং আনছার দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদর থেকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডে মির্জাপুর যাচ্ছিল। পথে বরাটিয়া পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শোভন মারা যায়। গুরুতর আহত আনছারকে পাকুন্দিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজা আক্তার জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা  দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে শোভনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয় আনছার উদ্দিনকে। তার অবস্থার অবনতি দেখে কিশোরগঞ্জে রেফার্ড করা হলে হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 
 

ঢাকা/রুমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত ক শ রগঞ জ আনছ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।

কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ