ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের আহ্বানের মধ্যেই দেশ দুটি উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে-অপরকে দোষারোপ করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতশাসিত কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা  চালানোর অভিযোগ করেছে। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ভারতশাসিত কাশ্মীরে কোনো হামলার দায় তার দেশের নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তান যখন হামলা চালাবে, তখন ‌তা সারা বিশ্ব জেনে যাবে। খবর-বিবিসি

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ওইসব হামলার ফলে তাদের কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, জম্মু, পাঠানকোট আর উধমপুরে সামরিক ঘাঁটির ওপরে পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। এসব হামলা রুখে দেওয়া গেছে। কোনো জানমালের ক্ষতি হয়নি। 

মঙ্গলবার রাতভর অভিযানের পর ভারত আরও বলেছে, তারা পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। 

অন্যদিকে পাকিস্তান বলেছে, তারা ৬টি স্থানে আঘাত হেনেছে এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তান জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলিবর্ষণে ৩১ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা গুলিতে কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

ভারত বলছে, তাদের প্রাথমিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ছিল গত মাসে পেহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর এক জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। ইসলামাবাদ ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 

ভারতশাসিত কাশ্মীর কয়েক দশক ধরে চলমান বিদ্রোহের সাক্ষী, যেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পাওয়া গেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ এনেছে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি। এ দিন রাতেই একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে।  


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক শো, দুই তারকা

টক শো সঞ্চালক হয়ে আসছেন নব্বইয়ের দশকের দুই জনপ্রিয় তারকা কাজল ও টুইংকেল খান্না। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে শিগগিরই শুরু হচ্ছে তাঁদের অনুষ্ঠান ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইংকেল’। মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শোয়ের ট্রেলার উন্মোচন হয়ে গেল গত সোমবার। শোয়ের ট্রেলারে দেখা গেছে বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাকে। এক ঝলকেই উপস্থিত ছিলেন আমির খান-সালমান খান, গোবিন্দা-চাংকি পান্ডে, বরুণ ধাওয়ান-আলিয়া ভাট, ভিকি কৌশল-কৃতি শ্যানন, করণ জোহর-জাহ্নবী কাপুর। তবে শোয়ের নির্মাতারা জানিয়েছেন, এটি কেবলই ঝলক। পুরো শোতে অতিথির তালিকা হবে আরও সমৃদ্ধ।

ট্রেলার উন্মোচনের দিন কাজল ও টুইংকেলকে প্রাণবন্ত মেজাজে দেখা গেছে। সবচেয়ে আলোচনায় ছিল তাঁদের পরস্পরের আন্তরিক সম্পর্ক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে টুইংকেল কাজলকে বন্ধু বলতে একেবারেই নারাজ। মজার ছলে জানান, ‘শোতে কাজলকে আমি বোন বলেছি। আমরা বন্ধু নই, আমরা বোন। আমরা একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করি, বিদ্রুপও করি, আবার একই সঙ্গে একে অপরকে ভরসা দিই। এটাই আমাদের আসল বন্ডিং।’ টুইংকেলের কথা শুনে কাজলও হাসিমুখে তা সমর্থন করেন। দুজনের প্রাণবন্ত আড্ডা সেদিনই উপস্থিত দর্শকদের আশ্বস্ত করেছে যে টু মাচ হবে প্রাণখোলা হাসি-ঠাট্টায় ভরপুর।

মুম্বাইয়ের অনুষ্ঠানের প্রচারে কাজল ও টুইঙ্কেল খান্না। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক শো, দুই তারকা