রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছার অভাবে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি সংগঠন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপরে পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু, শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ, আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

খুলনার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

সংবাদ সম্মেলনে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা বলেন, ‍“ঢাকা থেকে পাবনা আসতে সড়ক পথে যানজটের কবলে পড়তে হয়। চার ঘণ্টার রাস্তায় ১০-১২ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়। ট্রেন সার্ভিস চালু হলে সহজেই পাবনা থেকে ঢাকা যাতায়াত করা সম্ভব হবে।” 

তিনি বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ও ইপিজেডে অসংখ্য বিদেশি নাগরিক বসবাস করেন। তারা ঢাকায় যাতায়াতে যানজটে ব্যাপক নাজেহালের শিকার হন।” সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত বন্ধ থাকা ঈশ্বরদী বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গ বৈষম্যের শিকার। একটা উপদেষ্টাও নেই সরকারে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার পাবনা আগে থেকেই উন্নয়ন বঞ্চিত। পাবনার কোথাও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। পাবনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উন্নয়ন চাই।”

পাবনা থেকে সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে বারবার অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সদিচ্ছার অভাবে এবং অদৃশ্য কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা বলেন, ‘ঈশ্বরদী বিমানবন্দর একই আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বন্ধ হয়ে আছে। সারা দেশে কয়েকটি বিমানবন্দর সরকার চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও আমরা বঞ্চিত হব কেন? দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে পাবনাবাসীকে নিয়ে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমাদের আন্দোলনের ফসল বারবার অদৃশ্য কারণে বন্ধ হতে দেব না ইনশাআল্লাহ।”

আয়োজকরা জানান, আগামী ১৩ জুলাই পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ চত্বরে চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত গণসাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, শেকড় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ড.

মোস্তাফিজ খান, পরিচালক তাজুল ইসলাম।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের নাগরিককে এনআরসির নোটিশ ধরালো আসাম সরকার!

‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’ (এনআরসি) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীর। ভারতের আসাম রাজ্যে সরকারের তরফে উত্তম কুমারকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে উপযুক্ত নথি দেখাতে না-পারলে তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। 

গত কয়েক দশক ধরে বংশ-পরম্পরায় দিনহাটার চৌধুরীহাটে বসবাস করে আসছেন উত্তম। জীবনের ৫০ বছর বয়সে এসেও কোচবিহারের বাইরে যাননি তিনি। অথচ আসাম রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিনহাটার চৌধুরীহাটের সাদিয়াল কুঠি এলাকার উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে পাঠানো হলো অবৈধ অনুপ্রবেশের নোটিশ!

এই বিষয়ে উত্তম কুমার ব্রজবাসী বলেন, “গত জানুয়ারি মাসে পুলিশ প্রশাসন মারফত তার বাড়িতে একটি এনআরসি সংক্রান্ত চিঠি আসে। এরপর আমি প্রতিবেশীদের সেই চিঠিটি দেখালে জানতে পারি যে আসাম সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করে নোটিশটি পাঠিয়েছে। এবং গুয়াহাটি থেকে এই নোটিশ এসেছে।”  

আরো পড়ুন:

রাশমিকার সঙ্গে জুটি বাঁধতে বিজয়ের কেন আপত্তি?

কবি নজরুলের স্মৃতিচিহ্ন কোথায় থাকবে? মুখোমুখি একাডেমী ও বিশ্ববিদ্যালয়

তিনি আরো বলেন, “আসামে আমার কোনো আত্মীয় নেই। তাছাড়া আমি কোনোদিন সেখানে যাইওনি। আমার জন্ম দিনহাটায়, আমার বাবার জন্মও এখানে। কিন্তু তারপরেও এনআরসির কাগজ পাঠানো হয়েছে। এরপরে আমি আইনজীবী ধরে আসামে আমার সমস্ত নথি পাঠিয়েছিলাম। তারা আমার কাছ থেকে ১৯৬৩ সালের কাগজ চেয়েছিল কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন আমাকে সেই কাগজ দিতে পারেনি।” 

পুরো বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “উত্তম কুমার ব্রজবাসি শুধু ভারতীয় নাগরিকই নন, তিনি তপশিলি তালিকাভুক্ত নাগরিক।” মন্ত্রীর প্রশ্ন, “আসামের কামরূপ জেলার পুলিশ সুপার কোন সাহসে কোচবিহারের দিনহাটার নাগরিককে এনআরসি সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়?” 

মন্ত্রীর বলেন, “এখানকার স্থানীয় নাগরিককে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পুশব্যাক করে সেটা আমরা দেখে নেব।”  উত্তম কুমার ব্রজবাসীর বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয়টা খোঁজখবর নেবেন বলেও আশ্বাস দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।  

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পশ্চিমবঙ্গের নাগরিককে এনআরসির নোটিশ ধরালো আসাম সরকার!