লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন কয়েক দিন ধরে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থার মধ্যেই গতকাল সোমবার রাত থেকে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ায়-এই গুণী শিল্পী নাকি আর নেই। কেউ কেউ তাঁর ছবি পোস্ট করে মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়াতে শুরু করেন।

বিষয়টি নিয়ে চরম বিব্রত এবং মর্মাহত শিল্পীর পরিবার। আজ  দুপুরে শিল্পীর স্বামী, যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম সমকালকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ফরিদা এখনো জীবিত, আমরা তাঁকে ঘিরে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। এমন সংকটময় মুহূর্তে মানুষ দোয়া করবে-এই তো প্রত্যাশা। অথচ কেউ কেউ যাচাই না করেই তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা কী ধরনের মানসিকতা!’

শিল্পী যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.

আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘ফরিদা পারভীন হাসপাতালে ভর্তি হন তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে। পরবর্তীতে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তে সংক্রমণ রয়েছে। জ্ঞানের মাত্রাও অনেকটা কমে গেছে। কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে গেছে, সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস দিতে হচ্ছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, যেকোনো সময় ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হতে পারে।’

সংকটাপন্ন হলেও এখনো জীবিত এই শিল্পীর জন্য সবার কাছে প্রার্থনা চেয়েছেন গাজী আবদুল হাকিম। তাঁর ভাষায়,‘সার্বিকভাবে ফরিদার অবস্থা ভালো নয়। গত কয়েক মাসে তাঁকে তিনবার আইসিইউতে নিতে হয়েছে। ফুসফুস ও কিডনিজনিত জটিলতায় তিনি ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছেন। হাঁটা বা দাঁড়ানোর শক্তিও নেই। আমাদের একটাই অনুরোধ—গুজব ছড়াবেন না। সবার দোয়া দরকার এখন।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আটক ৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক আট বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মোহনপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ধর্মঘর ২৫ বিজিবির নায়েক সুবেদার আবু সায়েদ এ তথ্য জানান।

হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া, বাবলু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, শিহাব উদ্দিন, রুবেল মিয়া, জমির উল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, নুরুল ইসলামের ছেলে শাকিল মিয়া, রহুল আমিনের ছেলে রিহান মিয়া এবং কালু মিয়ার ছেলে ইকবাল।

আরো পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক ৫

ধর্মঘর ২৫ বিজিবির নায়েক সুবেদার আবু সায়েদ জানান, কাজের সন্ধানে তারা কিছুদিন আগে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন তারা। এরপর বিএসএফ তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। দুপুর ৩টার দিকে তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

মাধবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্ল্যা বলেন, ‍“আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ