দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার অনেক এলাকা। বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। যানবাহন চলাচল অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বহু সড়কে। পানিতে ডুবে গেছে কলকাতার আশপাশের বহু এলাকাসহ শস্যখেত। কলকাতা পৌরসভা পাম্প চালিয়ে রাস্তার পানি সরিয়ে দেওয়ার কাজে নেমেছে।

পানিতে ভাসছে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাও। বিভিন্ন বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীসংলগ্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে দীঘাসহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিরে আসতে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে।

কলকাতার লেক টাউন, গলফ গ্রিন, উল্টোডাঙ্গা, হরিপাল, বাড়ৈপুর, রাজাবাজার, বেহালা, গার্ডেন রিচ , টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, কলেজ স্ট্রিটসহ কলকাতার বিভিন্ন সড়ক ডুবে গেছে। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। কিছু বিছু এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে নামানো হয়েছে নৌকা।

ভারী বৃষ্টিতে কলকাতার ইএম বাইপাসে জমেছে পানি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কলক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ