চট্টগ্রামের রাউজান থানার এয়াছিননগর এলাকার আলোচিত প্রকৌশলী নুরুল আলম বকুল হত্যা মামলায় নিহতের মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের মা শহিদা বেগম (৬০), তার দুই ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন (৩৫) ও দিদারুল আলম (৩৩)।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, নিহত নুরুল আলম বকুলের তার নিজের নামে কেনা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে ভাই নাজিম উদ্দিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ৩১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন বকুল নিজ বাড়িতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বড় ভাই নাজিম উদ্দিন ও অন্যান্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

খুলনা শহরে ১০ মাসে ২৬ হত্যা: পুলিশ

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

বকুলের চিৎকারে ছোট ভাই মোহাম্মদ রাজু আহাম্মদ, তার স্ত্রী ও স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রাজু আহাম্মদ বাদী হয়ে রাউজান থানায় মাসহ ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হাটহাজারী থানার চৌধুরীহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই থানার বড়দিঘীরপাড় বাজার এলাকা থেকে দিদারুল আলম এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালিয়ারহাট এলাকা থেকে মা শহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাউজান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য র ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ