খুবির ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আনা ‘চাঁদাবাজি’র অভিযোগের নতুন মোড়
Published: 8th, July 2025 GMT
খুলনায় একটি মেলাকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও রেকর্ডে এমন দাবি করা হয়, যা নিয়ে ছাত্রসমাজ ও স্থানীয় পর্যায়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে।
অডিও রেকর্ড অনুযায়ি, মেলার আয়োজক হিসেবে পরিচয় দেওয়া বগুড়ার মন্টু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর সত্ত্বাধিকারী মন্টুর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে খুলনা মহানগরের ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ধারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে।
ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে আংশিক কথোপকথন শোনা গেলেও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে অভিযুক্তদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে একতা নষ্ট করার ব্যর্থ প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
টিউশনির টাকায় বিসিএসের প্রস্তুতি: ৪৩-এ শিক্ষা, ৪৪-এ পররাষ্ট্র ক্যাডার
জঙ্গি সন্দেহে তুলে নেওয়ার ৫ বছর পর মুক্তি পেলেন খুবির দুই শিক্ষার্থী
জানা গেছে, খুলনায় আয়োজিত ওই মেলার প্রকৃত মালিকানা মন্টু মিয়ার নামে নয়, বরং মেলাটি এক পর্যায়ে মো.
প্রকৃত মালিক রাসেল মিয়া এক ভিডিও বার্তায় স্পষ্টভাবে দাবি করেন, “মন্টু নামের যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কথিত সত্ত্বাধিকারীর কথা বলা হচ্ছে, সে একজন প্রতারক। মেলা নিয়ে নানা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাকেসহ অনেককে বিভ্রান্ত করেছে। প্রকৃত মালিকানা আমার কাছেই আছে এবং কোনো ধরনের চাঁদা লেনদেন ঘটেনি।”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আমার পক্ষ থেকে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি। এ মেলাকে ঘিরে যে কথিত চাঁদাবাজির গল্প ছড়ানো হচ্ছে, তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
আরো পড়ুন: খুবির ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ, অডিও ফাঁস
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, “সম্পূর্ণ পরিকল্পিত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে। কথিত যে অডিও রেকর্ড ছড়ানো হয়েছে, সেটি বিভ্রান্তমূলক। আমাদের পক্ষ থেকে কখনোই কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা বলা হয়নি। বরং কথিত আয়োজক মন্টু নিজেই প্রথমে আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গটি তোলে এবং সেটিকে ঘিরেই পুরো ষড়যন্ত্র সাজানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময়ের কথোপকথন কেটে-ছেঁটে এবং এডিটিং করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রযুক্তির এ যুগে যে কেউ চাইলে উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি, কণ্ঠ বা বার্তা বিকৃতভাবে তৈরি করতে পারে, যা এখানেই ঘটেছে। এটা ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের সুবিধা হাসিলের অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ভিত্তিহীন প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
অপর অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম তানভীর সাংবাদিকদের বলেন,“এটি অনেক আগের বিষয়। আমাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেটা তদন্তেই প্রমাণ হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের ফলাফলের পরই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।”
এদিকে নেটিজেনদের একটি অংশ বলছে, পুরো রেকর্ডে কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ সরাসরি শোনা যায়নি। কথোপকথনের শব্দ চয়ন, আঞ্চলিক ভাষা এবং ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র সাজানো হয়েছে।
ঢাকা/হাসিবুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত
দেশের পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রেসিডেন্ট, একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১২ জন পরিচালক।
নির্বাচিতরা আগামী ২ বছর (২০২৬ ও ২০২৭) ডিবিএ‘র নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচিত সদস্যরা ডিবিএ’র আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে মো. মনিরুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মো. নাফিজ-আল-তারিক ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন–এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাফিউজ্জামান বোখারী, এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, আর এন ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাদিম, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কবির মজুমদার, নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরওয়াই শমসের, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম, জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাহিদ আহমেদ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মো. কাইয়ুম, ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শফিকুর রহিম ও এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী