মানুষের দেহভস্ম বহনকারী স্পেস ক্যাপসুল বিধ্বস্ত
Published: 8th, July 2025 GMT
মহাকাশ নিয়ে মার্কিন ও পশ্চিমাদের আগ্রহ অনেক বেশি। জীবিত অবস্থায় মহাকাশে যেতে না পারলেও অনেকেই মৃত্যুর পর তাঁর দেহভস্মকে মহাকাশে পাঠাতে চান। মানুষের এই শেষ ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক মহাকাশ সমাধি প্রতিষ্ঠান সেলেস্টিস। সম্প্রতি সেলেস্টিসের পাঠানো একটি স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশে পাঠানোর পর বিধ্বস্ত হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। ১৬৬ জন মানুষের দেহভস্ম বহন করছিল মহাকাশযানটি।
সেলেস্টিসের তথ্যমতে, পৃথিবীর কক্ষপথে দুইবার সফলভাবে প্রদক্ষিণ করার পর স্পেস ক্যাপসুলটি বিধ্বস্ত হয়েছে। মিশন পসিবল প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুন দ্য এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিক্স নামের ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণ করে। এর কার্গোতে ১৬৬ জনের দেহাবশেষ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক বিবৃতিতে সেলেস্টিস জানিয়েছে, ক্যাপসুলটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কক্ষপথে দেহভস্ম রাখার সময় ব্ল্যাকআউট হয়ে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হেলিন হুবি জানিয়েছেন, এটি প্রথম সেলেস্টিস মিশন, যেখানে দেহভস্ম কক্ষপথে রেখে ফিরে আসার জন্য ক্যাপসুলটির নকশা করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে মৃত ব্যক্তিদের দেহভস্ম ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।