সরকারি অনুদানের নামে ৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ
Published: 8th, July 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও তার বাবা পরিচয়ে সরকারি অনুদানে ঘর ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. রাকিব চৌধুরী (২৬) ও তার বাবা আলাউদ্দিন চৌধুরীর (৬৫) বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চার ভুক্তভোগী।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে চারজন ভুক্তভোগী যৌথভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রাকিব কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আলাউদ্দিন চৌধুরী। ভুক্তভোগীরা হলেন—একই এলাকার সাফির উদ্দিন শেখ (৬০), মো. সারোয়ার (৩০), মোসা. সালেহা বেগম (৩৫) এবং বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. হোসেন মিয়া (৩৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে রাকিব সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরকারি ঘর ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ প্রলোভনে পড়ে সাফির উদ্দিন ৪১ হাজার টাকা, সারোয়ার ১১ হাজার টাকা এবং সালেহা ও হোসেন মিয়া ৪৫ হাজার টাকা করে দেন। কিন্তু, নির্ধারিত সময় পার হলেও ঘর কিংবা সাবমারসিবল পাম্প কেউ পাননি। টাকা ফেরত চাইলে রাকিব তাদেরকে মামলা দিয়ে জেল ভরার হুমকি দেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রাকিব সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রতারণা করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ আহমেদ কবির বুলবুল বলেছেন, “রাকিব ঘর ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বর্তমানে সে পলাতক আছে। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোনে কথা বলেছে।”
অভিযুক্ত রাকিব চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি ঘর ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়ার কথা বলে আটজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। কাজ হয়নি। ভুল করেছি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে, এসব বিষয়ে আমার বাবা কিছুই জানেন না।”
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সংগঠনের সঙ্গে রাকিবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করলেও এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবীবুর রহমান বলেছেন, “অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত রাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেছেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন বয়ক য গ কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু জিনিয়ার হৃদ্যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন
মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।
আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।