আধিপত্যমুক্ত দেশ গড়তে আবরার আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে: নাহিদ ইসলাম
Published: 8th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। এই কুষ্টিয়ার মাটি থেকে আমরা আগামীতে আধিপত্যবাদ মুক্ত দেশ গড়ার শপথ নিতে চাই।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার শাপলা চত্বরে এনসিপি আয়োজিত ৮ম দিনের পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমসহ আরও অনেকে।
দলটির আহ্বায়ক আরও বলেন, আগামীতে নতুন রাষ্ট্র গঠনে কুষ্টিয়াবাসীর সহযোগিতা চাই। আগামীতে কোনো রাজনৈতিক দল যাতে আধিপত্যবাদ কায়েম করতে না পারে সে জন্য আমাদের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
এর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ দেশের পক্ষে ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। পানির ন্যায্য হিসাবের পক্ষে বলেছিল। এতে ভারতের স্বার্থে আঘাত হানে। এ কারণে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। সব হত্যার বিচার হবে এদেশের মাটিতে। এ সময় আবরারের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবর র
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেসরকারি এই প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে দেখিয়ে আবাসন বৃত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছে, এমন অভিযোগে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
এর আগে দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁদের স্লোগানের মধ্যে ছিল: ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, ভুজুংভাজুং ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, বৃত্তি আমার অধিকার’ এবং ‘আস–সুন্নাহে বৃত্তি দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নীতিমালায় আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পকে ‘হল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাঁরা আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পটি বেসরকারি হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হল না হওয়ায় তাঁদের বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো হল নেই। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের মেধাবী প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প আমাদের জন্য করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোনো হল নয়।’
শিক্ষার্থী সুমন আরও বলেন, ‘বৃত্তি নীতিমালায় সুকৌশলে আস–সুন্নাহ প্রজেক্টকে হল হিসেবে উপস্থাপন করে বৃত্তি থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ পাঁয়তারাকে রুখে দিতে প্রতিবাদ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্প থেকে যখন আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাবে, তখন তাদের আশ্রয়স্থল কোথায়? আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলন করব।’
শিক্ষার্থীরা প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে থাকেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত আবাসন প্রকল্পে ফিরে যান।
জানা যায়, আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।