অফিসে কাজের চাপ, আর্থিক টানাপোড়েন, সংসারের ব্যস্ততা, শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা কারণে হুটহাট আমাদের মন খারাপ হয়। মন খারাপ থাকলে কাজ করার শক্তি থাকে না। কোনও কাজে মন বসে না। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

মুক্ত বাতাসে সময় কাটান
বদ্ধ পরিবেশে শরীর-মনে আরও অস্বস্তি তৈরি হয়। মাথার ভিতরে নানা রকমের চিন্তা থাকলে বাড়ির বাইরে গিয়ে মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটা, জগিংয়ের মতো এক্সারসাইজ় মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে ফুরফুরে করে তোলে।

পর্যাপ্ত পানি খান
অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের জন্যও শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। অ্যাংজ়াইটি, প্যানিক অ্যাটাক হলে এক গ্লাস পানি খান। তাহলে কিছুটা স্বস্তি বোধ করবেন।
 
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
সময় পেলেই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এই অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

নিজের ঘরকে নতুন করে সাজান
নিজের ঘর, পড়ার ঘর পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে আসবাবপত্রের জায়গা পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজান বাড়ির অন্দরমহল। ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। এতে মন ভালো লাগবে। 

পছন্দের গান শুনুন
মন খারাপ হলে ‘স্যাড সং’ শুনলে চলবে না। এমন গান শুনতে হবে যা মন ভালো করে দেবে। একইসঙ্গে কাজের এনার্জি বাড়িয়ে দেবে। প্রয়োজনে ভালো সিরিজ় বা সিনেমাও দেখতে পারেন। আবার গল্পের বই পড়েও মন ভালো করতে পারেন। 

বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন
অনেক সময় এমন হয় মনের ভিতর কী চলছে,তা কাউকে শেয়ার করা যাচ্ছে না। এমন হলে ডায়েরিতে নিজের মনের সব কথা লিখে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া কোনও কাছের মানুষ বা প্রিয় বন্ধুকে ফোন করে মনের সব কথা বলতে। এতে সমস্যার সমাধান হয়তো মিলবে না কিন্তু মন হালকা লাগবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ