কেরাণীগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 8th, July 2025 GMT
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশ থেকে তাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাম জানা কেউ তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে।
মারা যাওয়া তাজুল দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার পশ্চিমদি ঝালখোলা এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
শাহীন চাকলাদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এএসআই ক্লোজড
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে রাস্তার পাশে মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সুরতহাল শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, তাজুলের মেয়ের জামাই সবুজের দুইটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে দুইজন রাজমিস্ত্রিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা শেষে থানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাজুল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাজুল ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কুয়েত প্রবাসী। তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। চলতি মাসের ২৬ তারিখে তার কুয়েতে ফেরার কথা ছিল।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, “মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে নাম জানা কেউ তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির একটি দল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ প রব স উদ ধ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর লেনদেন আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়াল
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০২ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে এটিই ঢাকার বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজকের আগে ঢাকার বাজারে ৬০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সর্বশেষ ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৬০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেন বাড়লেও আজ ডিএসইতে সূচক খুব বেশি বাড়েনি। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে বাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব শেয়ারের দামও বাড়ছে। তাতে বাজারের সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও গতি ফিরে এসেছে। সোমবার ব্যাংক খাতের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে ঢাকার বাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছিল। আর আজ ব্যাংকের শেয়ারের কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়ায় সূচকের গতিও কম ছিল। এটিকে বাজারের স্বাভাবিক প্রবণতা বলছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, কয়েক দিন কিছু ব্যাংকের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধির পর এখন অনেকেই এসব শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। তাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন হচ্ছে। তবে এসব শেয়ারের লেনদেন খুব বেশি কমেনি। ফলে বোঝা যাচ্ছে কিছুটা মূল্য সংশোধনের পর এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ যে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ডিএসইএক্স সূচকটি সবচেয়ে বেশি কমেছে, তার মধ্যে ৮টিই ছিল ব্যাংক। সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০ কোম্পানি ছিল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ্ ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও গ্রামীণফোন ছাড়া বাকি ৮টিই ছিল ব্যাংক। ৮টি ব্যাংকের দরপতন ডিএসইএক্স সূচক পতনে বড় ভূমিকা রাখলেও অন্য চারটি ব্যাংক আবার এই সূচকটির উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে। কারণ, ওই চার ব্যাংকের শেয়ারের দাম এদিন বেড়েছে। ব্যাংক চারটি হলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। আজ ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০ কোম্পানির তালিকায় এই চারটি ব্যাংকও ছিল।