Risingbd:
2025-09-17@22:24:45 GMT

হিন্দি গানে বৃষ্টিবিলাস

Published: 8th, July 2025 GMT

হিন্দি গানে বৃষ্টিবিলাস

আষাঢ়ের শেষ লগ্নে বাইরে ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। মানব মনে বৃষ্টির গভীর প্রভাব; বৃষ্টি নিয়ে মানুষের মনে খেলা করে নানা অনুভূতি। তাই তো এই সময়ে মনের অজান্তেই গেয়ে উঠেন বৃষ্টির গান। বলিউড সিনেমায় বৃষ্টির গান বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। এসব সিনেমার গানে কখনো বৃষ্টি ঝরেছে বিরহের সুরে, কখনো লাগামহীন প্রেমের আবেগে। এমন কয়েকটি হিন্দি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিবেদন।

পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া 
বৃষ্টি নিয়ে বলিউড সিনেমায় অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া’। ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শ্রী ৪২০’ সিনেমায় গানটি ব্যবহার করা হয়। এ গান রচনা করেন শৈলেন্দ্র। সুর করেন শংকর-জয়কিশান। গানটিতে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দেন মান্না দে ও লতা মঙ্গেশকর। এই গানে বৃষ্টির মধ্যে এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা আজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। একই ছাতার নিচে প্রেমিক-প্রেমিকা রূপে দেখা যায় রাজ কাপুর ও নার্গিসকে। তাদের রোমান্স বলিউডের আইকনিক দৃশ্যগুলোর একটি। 

এক লারকি ভিগি ভাগি সি
মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টির পানিতে হঠাৎ গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরী চালক গাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। আর মেকানিক গাড়ি ঠিক করার ফাঁকে গাইতে থাকেন— ‘এক লারকি ভিগি ভাগি সি’ গানটি। ‘চালতি কা নাম গাড়ি’ সিনেমায় এ গান ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। গানটির কথা লেখেন মাজরুহ সুলতানপুরি, সুর করেন শচীন দেব বর্মণ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর কুমার। গান আর গানের দৃশ্য, দুটোই সমান উপভোগ্য। মধুবালার মিষ্টি হাসি আর কিশোর কুমারের অভিব্যক্তি এই গানের দৃশ্যকে কিংবদন্তিতে পরিণত করেছেন।

আরো পড়ুন:

কাজল-রানীদের ঐতিহ্যবাহী ফিল্মিস্তান স্টুডিও বিক্রি

রাহুল-শ্রদ্ধার ছবি ভাইরাল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রাভিনার

ভিগি ভিগি রাতো মে
‘ভিগি ভিগি রাতো মে’ গানে রাজেশ খান্না ও জিনাত আমানের রসায়ন যে কারো মনে দোলা দেবে। স্মৃতি-জাগানিয়া এই গান চিত্রায়িত হয়েছে ছাদের ওপর। মুষল ধারার বৃষ্টির মাঝে এ জুটির রসায়ন থেকে চোখ ফেরানো দায়! ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ‘আজনাবি’ সিনেমা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে গানটি। এ গানের কথা লিখেছেন আনন্দ বাকশি, সুর করেছেন রাহুল দেব বর্মণ।গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কিশোর কুমার ও লতা মঙ্গেশকর। 

টিপ টিপ বরসা পানি
‘টিপ টিপ বরসা পানি’ বলিউডে বৃষ্টি নিয়ে শীর্ষ দশ গানের একটি। নব্বই দশকের সাড়া জাগানো এই গানে অক্ষয় কুমার ও রাভিনা ট্যান্ডনের রোমান্স আজও দর্শক হৃদয়ে শিহরণ জাগায়। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ‘মোহরা’ সিনেমা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে গানটি। এ গানের কথা লিখেছেন আনন্দ বাকশি। গানটিতে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন উদিত নারায়ণ ও অলকা ইয়াগনিক।

ভাগে রে মন
বাইরে ঝুম বৃষ্টি। গাড়িতে বসা কারিনা কাপুর খান। বৃষ্টির আবেদন এতটাই যে, মোহাচ্ছান্ন কারিনা বৃষ্টির জলে শরীর ভেজাতে বাধ্য হন। ‘ভাগে রে মন’ গানে কারিনা কাপুরের নাচ এখনো দর্শক হৃদয়ে দোলা দেয়। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘চামেলি’ সিনেমা। এতে গানটি ব্যবহার করা হয়। এ গানের কথা লেখেন ইরশাদ কামিল। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুনিধি চৌহান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর গ নট ত এই গ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ