দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার প্রেমে পড়েন আমির খান। বছরের শুরুতে ৬০তম জন্মদিনে নতুন বান্ধবী গৌরীকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। সম্প্রতি গৌরীকে বিয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কেও কথা বলেছেন আমির।
সম্প্রতি স্ক্রিনের জন্য সুভাষ কে ঝা-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গৌরীর সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা এবং প্রেমিকাকে বিয়ের বিষয়ে আমির বলেন, ‘গৌরী এবং আমি একে অপরের প্রতি সত্যিই সিরিয়াস এবং আমরা খুব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জায়গায় আছি। আমরা পার্টনার। আমরা একসঙ্গে আছি। বিয়ে এমন একটি জিনিস, মানে, আমি মনে মনে ইতিমধ্যেই ওর সঙ্গে বিবাহিত। তবে আমরা এটিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেব কি না, সেটা আমি সিদ্ধান্ত নেব।’
গেলে মার্চ মাসে আমির জানিয়েছেন, তিনি এবং গৌরী ২৫ বছর আগে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর কোনও যোগাযোগ ছিল না। তারা ১৮ মাস আগে তারা ফের ডেটিং শুরু করেন।
গৌরী বেঙ্গালুরু মেয়ে। বয়স ৪৬। তিনি এক পুত্রসন্তানের মা। অন্যদিকে আমির কিছু দিন আগেই ৬১ বছরে পা রেখেছেন। দু’জনের বয়সের ব্যবধান ১৪ বছর। বর্তমানে মুম্বইয়ের একটি বাড়িতে একত্রবাস করছেন তাঁরা।
১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির খান। তাদের সন্তান জুনায়েদ খান এবং ইরা খান। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০০৫ সালে পরিচালক কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। ২০২১ সালে তারা আলাদা হয়ে যান।
আমির খানকে সম্প্রতি ‘সিতারে জামিন পার’ ছবিতে দেখা গেছে। এখানে তিনি বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া পরবর্তীতে রজনীকান্তের ‘কুলি’ ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিটির ১৪ আগস্ট হলে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন আম র খ ন ন আম র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম
বাসায় ফিরেছেন রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়া জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান। রোববার সকালে তিনি বাসায় ফেরেন। সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।
মুশফিকুর রহমানের পরিবারের বরাত দিতে ওসি সাজ্জাদ বলেন, 'ভুল করে বাসায় মোবাইল ফোন রেখে বের হয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মুশফিকুর। এরপর কুয়াকাটায় ঘুরতে যান।'
এর আগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে মুশফিকুরের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। এ ঘটনায় মুশফিকুরের সন্ধান চেয়ে তার পরিবার খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম (মানব সম্পদ বিভাগ) মুশফিকুর রহমান নান্নু (৫৮) খিলক্ষেতের বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর তার পরিবার শনিবার খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েনি (জিডি) করেন।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, মুশফিকুর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইল ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যাননি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসার পাশের মসজিদে তিনি প্রবেশ করেননি।
মুশফিকুরের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, তার বড় ভাই জনতা ব্যাংকের মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম। তাদের বাসা খিলক্ষেত পূর্ব নামাপাড়ায়। টানা তিন দিন (ব্যাংক) বন্ধ থাকায় তিনি (মুশফিকুর) কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় ভুল করে মোবাইল ফোন রেখে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার গাড়ি মিস করেছেন, এজন্য পরদিন ফিরতে পারেননি। গতকাল শনিবার বিকেলে আমাদের বিষয়টা জানান। এরপর আজ সকালে তিনি বাসায় ফিরে এসেছেন। একটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে।