গাজা উপত্যকা থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিতর্কিত প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। 

সোমবার হোয়াইট হাউসের ব্লু রুমে ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু এই আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার এবং উপত্যকাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরিয়া’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই সময় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে সাময়িকভাবে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

নেতানিয়াহু বৈঠকে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ফিলিস্তিনিদের একটি ‘উন্নত ভবিষ্যত’ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করছে।

গাজার বাসিন্দারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মানুষ যদি থাকতে চায়, তারা থাকতে পারে, কিন্তু যদি তারা চলে যেতে চায়, তবে তাদের চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। এটি একটি কারাগার হওয়া উচিত নয়। এটি একটি উন্মুক্ত জায়গা হওয়া উচিত এবং মানুষকে স্বাধীনভাবে পছন্দ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন দেশ খুঁজে বের করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যারা সবসময় যা বলে তা উপলব্ধি করতে চাইবে, তারা ফিলিস্তিনিদের একটি উন্নত ভবিষ্যত দিতে চায়। আমার মনে হয় আমরা বেশ কয়েকটি দেশ খুঁজে বের করার কাছাকাছি চলে এসেছি।”

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলেছে, “এটি এমন কিছু যা ইসরায়েলিরা কিছুদিন ধরেই বলে আসছে, একে ফিলিস্তিনিদের তাদের জন্মভূমি থেকে স্বেচ্ছায় অভিবাসন বলে অভিহিত করছে। তবে অবশ্যই, একে জাতিগত নির্মূল হিসেবে নিন্দা করা হয়েছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১১৯ বার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তা জমা দিতে পারেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই তারিখ ঠিক করেন। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৯ বার পেছাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। খুনের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ