হাতের মুঠোয় সহজে বহনের সুযোগ থাকায় চলতি পথেও পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্ট ঘড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্র সহজে চার্জ করা যায়। তাই অনেকেই নিয়মিত পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করেন। তবে নিরাপদ, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। ব্যবহারকারীর প্রয়োজন ও যন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাওয়ার ব্যাংক কেনা উচিত। পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় যে ৭টি বিষয় জানতে হবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১.

পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ সম্পর্কে জানা

প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র নির্দিষ্ট একটি ভোল্টেজে চার্জ গ্রহণ করে। বেশির ভাগ স্মার্টফোনের জন্য এই ভোল্টেজ ৫ হলেও কিছু ফোনের ক্ষেত্রে ৯ বা ১২ ভোল্ট পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। বাজারে সব পাওয়ার ব্যাংক এই ভোল্টেজ সমর্থন করে না। তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে নিজের যন্ত্রের চার্জারের ভোল্টেজ এবং পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ মিলিয়ে নিতে হবে।

২. চার্জ ধারণক্ষমতা

একটি মানসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে স্মার্টফোন যাতে অন্তত দুইবার সম্পূর্ণভাবে চার্জ দেওয়া যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমেই ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা জেনে নেওয়া উচিত। যদি ফোনের ব্যাটারি হয় ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার, তবে ৮ থেকে ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন কেনার আগে যে ৩ সুবিধা ক্রেতারা বেশি বিবেচনা করেন০৪ জানুয়ারি ২০২৪৩. নিরাপত্তা সুবিধা

সব পাওয়ার ব্যাংকে নিরাপদ চার্জ সুবিধা থাকে না। এর ফলে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার ফলে ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে, এমনকি শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঝুঁকিও তৈরি হয়। ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক ওভারচার্জ বন্ধের পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সার্কিট সুরক্ষা এবং শর্টসার্কিট প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই কেনার আগে অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংকের নিরাপত্তাব্যবস্থা যাচাই করতে হবে।

৪. ব্যাটারির ধরন

পাওয়ার ব্যাংকের ভেতরে থাকা ব্যাটারির মান ও ধরন নির্ধারণ করে এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা। নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহৃত হলে তা থেকে তরল নির্গত হতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে পারে। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকের জন্য লিথিয়াম আয়ন বা লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিযুক্ত পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে।

আরও পড়ুনপুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় জানতে হবে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩৫. পোর্টের ধরন ও সংখ্যা

একাধিক যন্ত্রে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হলে পাওয়ার ব্যাংকে একাধিক ইউএসবি পোর্ট থাকা প্রয়োজন। অনেক পাওয়ার ব্যাংকে দুটি বা তার বেশি পোর্ট থাকে, তবে সব পোর্ট সব ধরনের কেবল বা যন্ত্র সমর্থন করে না। তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে প্রয়োজন অনুযায়ী যন্ত্র চার্জ করতে পারবে কি না, তা যাচাই করতে হবে।

৬. পাওয়ার ইন্ডিকেটর

পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে বা চার্জ কতটা হয়েছে, তা বোঝার জন্য একটি পাওয়ার ইন্ডিকেটর থাকা প্রয়োজন। এটি হতে পারে ছোট একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বা কয়েকটি এলইডি বাতি। এই সুবিধা থাকলে পাওয়ার ব্যাংকের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ব্যবহারকারী তা বুঝতে পারেন এবং ওভারচার্জের ঝুঁকিও এড়ানো যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন র আগ ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় যে ৬ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

হাতের মুঠোয় সহজে বহনের সুযোগ থাকায় চলতি পথেও পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্ট ঘড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্র সহজে চার্জ করা যায়। তাই অনেকেই নিয়মিত পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করেন। তবে নিরাপদ, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। ব্যবহারকারীর প্রয়োজন ও যন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাওয়ার ব্যাংক কেনা উচিত। পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় যে ৭টি বিষয় জানতে হবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১. পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ সম্পর্কে জানা

প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র নির্দিষ্ট একটি ভোল্টেজে চার্জ গ্রহণ করে। বেশির ভাগ স্মার্টফোনের জন্য এই ভোল্টেজ ৫ হলেও কিছু ফোনের ক্ষেত্রে ৯ বা ১২ ভোল্ট পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। বাজারে সব পাওয়ার ব্যাংক এই ভোল্টেজ সমর্থন করে না। তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে নিজের যন্ত্রের চার্জারের ভোল্টেজ এবং পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ মিলিয়ে নিতে হবে।

২. চার্জ ধারণক্ষমতা

একটি মানসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে স্মার্টফোন যাতে অন্তত দুইবার সম্পূর্ণভাবে চার্জ দেওয়া যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমেই ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা জেনে নেওয়া উচিত। যদি ফোনের ব্যাটারি হয় ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার, তবে ৮ থেকে ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন কেনার আগে যে ৩ সুবিধা ক্রেতারা বেশি বিবেচনা করেন০৪ জানুয়ারি ২০২৪৩. নিরাপত্তা সুবিধা

সব পাওয়ার ব্যাংকে নিরাপদ চার্জ সুবিধা থাকে না। এর ফলে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার ফলে ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে, এমনকি শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঝুঁকিও তৈরি হয়। ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক ওভারচার্জ বন্ধের পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সার্কিট সুরক্ষা এবং শর্টসার্কিট প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই কেনার আগে অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংকের নিরাপত্তাব্যবস্থা যাচাই করতে হবে।

৪. ব্যাটারির ধরন

পাওয়ার ব্যাংকের ভেতরে থাকা ব্যাটারির মান ও ধরন নির্ধারণ করে এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা। নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহৃত হলে তা থেকে তরল নির্গত হতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে পারে। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকের জন্য লিথিয়াম আয়ন বা লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিযুক্ত পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে।

আরও পড়ুনপুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় জানতে হবে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩৫. পোর্টের ধরন ও সংখ্যা

একাধিক যন্ত্রে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হলে পাওয়ার ব্যাংকে একাধিক ইউএসবি পোর্ট থাকা প্রয়োজন। অনেক পাওয়ার ব্যাংকে দুটি বা তার বেশি পোর্ট থাকে, তবে সব পোর্ট সব ধরনের কেবল বা যন্ত্র সমর্থন করে না। তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে প্রয়োজন অনুযায়ী যন্ত্র চার্জ করতে পারবে কি না, তা যাচাই করতে হবে।

৬. পাওয়ার ইন্ডিকেটর

পাওয়ার ব্যাংকে কতটুকু চার্জ অবশিষ্ট আছে বা চার্জ কতটা হয়েছে, তা বোঝার জন্য একটি পাওয়ার ইন্ডিকেটর থাকা প্রয়োজন। এটি হতে পারে ছোট একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বা কয়েকটি এলইডি বাতি। এই সুবিধা থাকলে পাওয়ার ব্যাংকের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ব্যবহারকারী তা বুঝতে পারেন এবং ওভারচার্জের ঝুঁকিও এড়ানো যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ