কুষ্টিয়ায় প্রসূতির মৃত্যু, ক্লিনিকের মালিকের বাড়িতে হামলা
Published: 8th, July 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া থানা মোড়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিকের মালিকের বাড়িতে হামলা করেছেন।
সোমবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড়ে অবস্থিত তারাগুনিয়া ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু হয়। একই ক্লিনিকে গত ৮ জুন সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় আরেক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল।
রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রিফাইতপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা গ্রামের আইনাল আলীর স্ত্রী ও তারাগুনিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের মনজুর আলী শেখের মেয়ে মুন্নিকে (২২) সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য তারাগুনিয়া ক্লিনিকে সোমবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেন ডা.
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে চালককে মারধর করে অটোরিকশা ছিনতাই
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসিড নিক্ষেপ, দগ্ধ ৩
স্থানীয়রা জানান, বার বার একটি ক্লিনিকে এমন ঘটনা ঘটবে, সেটা কারো কাম্য নয়।
চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই প্রসূতির রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা একেবারে কম ছিল এবং এ অবস্থায় রোগীর অপারেশন করা সম্ভব ছিল না। যে কারণে অন্য ক্লিনিক তাকে অপারেশনের জন্য ভর্তি করেনি। ডা. সফর আলী একজন গাইনী চিকিৎসক হয়েও কীভাবে এই ঝুঁকি নিলেন তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উভয় পক্ষ সমঝোতার চেষ্টা করছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
গত ৮ জুন এই ক্লিনিকে ফিলিপনগর কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমন আলীর স্ত্রী আঁখি খাতুনের অপারেশন করার সময় মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ কামাল হোসেন বলেন, ‘‘এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি ত্রুটি পাওয়া যায়, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত র ম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি