স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল চা, পাট এবং চামড়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অসৎ, মুনাফালোভী ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদের কারণে ১৯৭৪ সালে দেশে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। এ সময় দেশের অর্থনীতি হয়ে ওঠে নাজুক ভঙ্গুর। বিশ্ব অর্থনীতির ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার বদলে স্বাধীনতা-পরবর্তী চার বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং অস্থিরতার চিত্র উঠে আসে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আর বিধ্বস্ত অর্থনীতির বাংলাদেশকে নতুন করে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

দেশের অর্থনীতির গতি বাড়িয়ে নতুন স্বপ্ন আর উদ্দীপনায় বলীয়ান বাংলাদেশকে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশের নুয়ে পরা অর্থনীতি এগিয়ে যায় নতুন পথে। কেবলমাত্র চা, পাট এবং চামড়া রপ্তানির বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে অর্থনীতিতে সৃষ্টি করে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। এ সময় তৈরি হয় দেশের রেডিমেট গার্মেন্টস খাতের ভিত। কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, এ সময় ইউরোপ, আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলোও দৃষ্টি দেয় বাংলাদেশের প্রতি।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বাধিক করার প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য নতুন কৌশল গ্রহণ করেন। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবং রপ্তানি শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে বাড়তে থাকে দেশের অর্থনীতির কলেবর। প্রেসিডেন্ট জিয়ার সৃষ্টি করা এই অর্থনৈতিক ভিত্তির হাত ধরেই ৮০ থেকে পরবর্তী তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে রপ্তানি পণ্য হিসেবে বাড়ে রেডিমেড গার্মেন্টেন্সের অবস্থান। দেশের গার্মেন্টস খাতে রপ্তানির প্রধান বাজার হয়ে ওঠে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়াতে ১৯৯৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংযুক্তি ছিলো একটি মাইলফলক। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে ৫.

৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল, যা ছিল মোট রপ্তানি আয়ের ৭৫.৬৭ শতাংশ। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ছিলো মোট রপ্তানির ৩৮ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে ২০ শতাংশের বেশি। এ সময় দেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় সংযুক্ত হয় চিংড়ি এবং চামড়া এবং সফটওয়ারের মতো পণ্যও। যদিও সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও হিমায়িত খাদ্য এবং চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাংলাদেশ খুব বেশি বাড়াতে পারেনি। 

সম্প্রতি ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোষাক রপ্তানি ২৯.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২.৯৮ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু সবকিছুকে শঙ্কার কালো মেঘ ঢেকে দেয় হঠাৎ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ট্রাম্পের ৩৫% শুল্ক আরোপের বিষয়টি। ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের উপর যে ৩৫% আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, তা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি অভিঘাত তৈরি করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি বড় রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক পটভূমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি। যেখানে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা বলেন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যে হারে শুল্ক দেয়, সেই হারে আমদানিকৃত পণ্যেও শুল্ক বসানো হবে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৫% শুল্কের আওতায় আনা হয়, যদিও কিছু বিশ্লেষকের এখনও বলছেন, এটি রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল। যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করা সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, যেখানে বছরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়ে আসছে। বর্তমানে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কে প্রবেশ করত। কিন্তু ৩৫% শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানিকারকদের জন্য পণ্যের দাম প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাবে। ক্রেতারা সস্তা ও সহজলভ্য বিকল্প খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে অন্য দেশ যেমন ভিয়েতনাম, ভারত, কিংবা মেক্সিকোর দিকে ঝুঁকতে পারেন। ফলে বাংলাদেশের অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং কয়েক লাখ শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন।

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ ইতোমধ্যেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এই শুল্ক শুধু পোশাক শিল্পে নয়, বরং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং, পরিবহন, প্যাকেজিং এবং রফতানি লজিস্টিক খাতেও ধস নামাবে। ফলে জাতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হার হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি এই শুল্ক রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং দাতা দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপ অনেকের দৃষ্টিতে ব্যবসার মোড়কে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল। যদিও হোয়াইট হাউস থেকে বলা হচ্ছে এটি বাণিজ্যনীতি সংশোধনের অংশ, তবুও বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের চোখে এটি একটি কূটনৈতিক বার্তা।
আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্ক কাঠামোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ঢাকার পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে লাভজনক শুল্কচুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ দেশের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী আগস্টের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি নমনীয় হতে পারে।

বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পণ্যের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ, মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, তিউনিসিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, বসনিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ, সার্বিয়ার ওপর ৩৫ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অন্যদিকে মাত্র ২৬% শুল্ক থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করবে ভারত। বিশ্ব বানিজ্যের এই জটিল খেলায় বাংলাদেশের দৃষ্টি এখন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে। সামনের দিনে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অস্তিত্ব এবং অবস্থান তৈরি এই সন্ধিক্ষণে ড. ইউনূসের যোগ্য নেতৃত্বের দিকেই চেয়ে আছে দেশের মানুষ। 

রাজু আলীম: কবি ও সাংবাদিক

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র শ ল ক আর প র র জন ত ক এই শ ল ক য় র ওপর পরবর ত এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসির পর বিদেশে পড়াশোনা, এসওপি-বৃত্তি পেতে কীভাবে নেবেন প্রস্তুতি

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-পরবর্তী সময় উত্তম সময়। দেশে স্নাতক করে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় কোর্স আউটলাইনসহ অনেক সময় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্নাতক স্তর থেকে বিদেশে পড়াশোনা শুরু করা গেলে পরবর্তী পর্যায়গুলোতে আর এ অসামঞ্জস্যতার আশঙ্কা থাকে না। তাই এইচএসসির পরপরই বিদেশে পড়তে যাওয়া সম্ভব হলে দূর ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলোতে প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজ হয়ে ওঠে। দীর্ঘ মেয়াদে এই সুফলের জন্য দেশে থাকা অবস্থাতেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এইচএসসির পরপরই বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক—

প্রবেশিকা পরীক্ষা

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন একাডেমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য পরীক্ষাগুলো হলো এসএটি (স্কলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট) এবং এসিটি (আমেরিকান কলেজ টেস্টিং)। এ পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর রিডিং, রাইটিং ও গাণিতিক বিশ্লেষণের মতো প্রাথমিক দক্ষতাগুলো যাচাই করা হয়। স্যাটে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ স্কোর তুলতে হয়, সেখানে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য এসিটিতে ২৫ থেকে ৩০ স্কোর প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্যের জন্য ইসিএএস (ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিস) ট্যারিফ বা এ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক কিছু পরীক্ষার ফলাফলকেও গুরুত্ব দেয়। যেমন যুক্তরাজ্যে মেডিকেল সায়েন্সের জন্য বিএমএটি (বায়োমেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট) অথবা ইউসিএটি (ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট) পরীক্ষা দিতে হয়।

ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা—

আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এই আবশ্যকীয় যোগ্যতাটি যাচাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত বেশ কিছু পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন—

আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)

টোয়েফেল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাস ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ)

পিটিই (পিয়ার্সন টেস্ট অব ইংলিশ)

ডুওলিঙ্গো

এগুলোর মধ্যে আইইএলটিএস ও টোয়েফেল বহু বছর ধরে ইংরেজি ভাষাভাষীসহ অন্য ভাষার দেশগুলোতেও অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএস স্কোর সাধারণত ৬ থেকে ৭ দশমিক ৫-এর মধ্যে থাকলে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে আবেদন করা যায়।

অপর দিকে টোয়েফেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৮০ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর দেখাতে হয়। কিছু ইউরোপীয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসির মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন (এমওআই) বা পাঠদানের মাধ্যম ইংরেজি ভাষায় হলেই ভর্তি নিয়ে নেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি মূলত শুধু ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংরেজি ভার্সন কলেজগুলোর জন্য প্রযোজ্য।

ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার দেশগুলোতে অধ্যয়নের জন্য সেখানকার স্থানীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য আলাদা পরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন জার্মানির ক্ষেত্রে টেস্টডিএএফ (টেস্ট অব জার্মান অ্যাস আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ) বা ডিএসএইচ (জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সামিনেশন ফর ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স) পাস করতে হয়। একইভাবে ফ্রান্সে গুরুত্ব দেওয়া হয় ডিএএলএফ (ডিপ্লোমা ইন অ্যাডভান্সড ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ) পরীক্ষার ফলাফলকে।

আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ০৮ মার্চ ২০২৫উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসনের প্রয়োজনীয় নথি তৈরি—

শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে কিছু দরকারি নথি প্রয়োজন হয়। প্রথমটি হচ্ছে স্টেটমেন্ট অব পার্পাস (এসওপি)। এখানে আবেদনকারীর একাডেমিক লক্ষ্য, দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা তার প্রোগ্রাম নির্বাচনের কারণগুলো উল্লেখ করতে হয়।

এরপরেই আসে লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)। এটি হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর যোগ্যতার ব্যাপারে সুপারিশনামা। সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা এই সুপারিশ করে থাকেন। সংগত কারণেই এই লেটারের কয়েকটি কপি তৈরি করে রাখতে হয়। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩টি এলওআর সরবরাহের প্রয়োজন হয়।

এসওপি ও এলওআরের সঙ্গে একটি সিভি বা রেজুমি ও কাভার লেটার বা পারসোনাল স্টেটমেন্ট যুক্ত করা হলে আবেদনটি আরও শক্তিশালী হয়। সিভি বা রেজুমিতে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে একাডেমিক ও একাডেমির বাইরের যাবতীয় অর্জনগুলো লিপিবদ্ধ থাকে। পারসোনাল স্টেটমেন্টের আরও একটি নাম মোটিভেশনাল লেটার। এখানে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত কোর্সটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীর আবেগের বিষয়টি পেশাগত কায়দায় ফুটিয়ে তুলতে হয়।

সর্বোপরি, এসব নথি তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে।

ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিশোর পরবর্তী সিনেমা ‘দম’, মুক্তি ঈদুল ফিতরে
  • নিশোর পরবর্তী সিনেমা ‘দম’, নির্মাতা রেদওয়ান রনি
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোবারকের আপিলের পরবর্তী শুনানি কাল
  • পরবর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের ভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই: আখতার হোসেন
  • শাহপরীর দ্বীপ জেটির ‘অবৈধ’ টোল আদায় বন্ধ
  • মন্ডলপাড়ায় নাসির শেখ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
  • শরীর , শিল্প ও স্থিতি: ফ্রিদা কাহলো
  • এইচএসসির পর বিদেশে পড়াশোনা, এসওপি-বৃত্তি পেতে কীভাবে নেবেন প্রস্তুতি