দর-কষাকষি করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কের বোঝা চেপে বসবে—তিন মাস আগের এমন শঙ্কাই সত্য হওয়ার পথে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হতে চলায় ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। এর আগে ৯ জুলাই থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে পারলে শুল্কহার কমতে পারে, অন্যথায় ঘোষিত হার কার্যকর হবে। অবশ্য তিন মাস আগেই সব দেশের পণ্য রপ্তানির ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে মোট শুল্ক ভার কত দাঁড়াবে? ৭ এপ্রিল জারি করা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছিল, এই হার হবে এত দিন থাকা শুল্ক হারের অতিরিক্ত। মানে হলো, এত দিন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্য যে হারে শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেত, তার সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন এই পাল্টা শুল্ক।

ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যে যত শুল্ক আদায় করা হয়েছে, তা গড় করলে হার দাঁড়ায় ১৫ শতাংশের মতো। ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে মোট শুল্কহার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। তার মানে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

পাল্টা শুল্ক নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ জন্য বর্তমানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে গত তিন মাসে দর-কষাকষি শেষে যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষিতে পিছিয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ধস নামতে পারে। অথচ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত আলোচনা শুরু করেনি। তিন মাস যখন শেষ হতে যাচ্ছে, তখন তাঁরা কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছেন। এই পাল্টা শুল্কের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির একক বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত এপ্রিলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন আগ্রাসী এই শুল্কহার কার্যকর করার আগে সময় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া এবং আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে জেমিসন গ্রিয়ারকে চিঠি দেন। পরে মে মাসে পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে দর-কষাকষি করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিখিত প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তর।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৫ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। এ ছাড়া মাথার টুপি বা ক্যাপ, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা এবং অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য বেশি রপ্তানি হয়।

গত এপ্রিলে ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দর-কষাকষির পর এখন সেটি কমে ২০ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, তিউনিসিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, বসনিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ, সার্বিয়ার ওপর ৩৫ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ এবং কাজাখস্তানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শুল্ক সব খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে, তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে পণ্য রপ্তানিতে কী প্রভাব পড়বে, সেটি জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানিতে ধস নামবে। তার কারণ, এই পরিমাণ শুল্ক দিয়ে অনেক মার্কিন ক্রেতাই পোশাক কিনতে আগ্রহী হবেন না। শুধু তা–ই নয়, এই পাল্টা শুল্কের প্রভাবে ইইউর বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, তখন অনেকেই ইইউর ক্রয়াদেশ নিতে চাইবে। ফলে পোশাকের দাম কমানোর সুযোগ নিতে পারেন ইইউর ক্রেতারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ব শ ল ক ক র যকর শ ল ক আর প য় র ওপর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে গড় শুল্কহার কত দাঁড়াবে

দর-কষাকষি করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কের বোঝা চেপে বসবে—তিন মাস আগের এমন শঙ্কাই সত্য হওয়ার পথে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হতে চলায় ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। এর আগে ৯ জুলাই থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে পারলে শুল্কহার কমতে পারে, অন্যথায় ঘোষিত হার কার্যকর হবে। অবশ্য তিন মাস আগেই সব দেশের পণ্য রপ্তানির ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে মোট শুল্ক ভার কত দাঁড়াবে? ৭ এপ্রিল জারি করা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছিল, এই হার হবে এত দিন থাকা শুল্ক হারের অতিরিক্ত। মানে হলো, এত দিন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্য যে হারে শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেত, তার সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন এই পাল্টা শুল্ক।

ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যে যত শুল্ক আদায় করা হয়েছে, তা গড় করলে হার দাঁড়ায় ১৫ শতাংশের মতো। ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে মোট শুল্কহার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। তার মানে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

পাল্টা শুল্ক নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ জন্য বর্তমানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে গত তিন মাসে দর-কষাকষি শেষে যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষিতে পিছিয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ধস নামতে পারে। অথচ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত আলোচনা শুরু করেনি। তিন মাস যখন শেষ হতে যাচ্ছে, তখন তাঁরা কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছেন। এই পাল্টা শুল্কের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির একক বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত এপ্রিলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন আগ্রাসী এই শুল্কহার কার্যকর করার আগে সময় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া এবং আলোচনার আগ্রহের কথা জানিয়ে জেমিসন গ্রিয়ারকে চিঠি দেন। পরে মে মাসে পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে দর-কষাকষি করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিখিত প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তর।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৫ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। এ ছাড়া মাথার টুপি বা ক্যাপ, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা এবং অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য বেশি রপ্তানি হয়।

গত এপ্রিলে ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দর-কষাকষির পর এখন সেটি কমে ২০ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, তিউনিসিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, বসনিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ, সার্বিয়ার ওপর ৩৫ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ এবং কাজাখস্তানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শুল্ক সব খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে, তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে পণ্য রপ্তানিতে কী প্রভাব পড়বে, সেটি জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানিতে ধস নামবে। তার কারণ, এই পরিমাণ শুল্ক দিয়ে অনেক মার্কিন ক্রেতাই পোশাক কিনতে আগ্রহী হবেন না। শুধু তা–ই নয়, এই পাল্টা শুল্কের প্রভাবে ইইউর বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, তখন অনেকেই ইইউর ক্রয়াদেশ নিতে চাইবে। ফলে পোশাকের দাম কমানোর সুযোগ নিতে পারেন ইইউর ক্রেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সামাজিক সুরক্ষা খাতে ইইউর ২ কোটি ৩৫ লাখ ইউরো অনুদান