১৫ বছর ধরে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছি: সিইসি
Published: 8th, July 2025 GMT
গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এখন সময় এসেছে দায়িত্ব পালনের।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি (আরএফডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল)। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা আজ যা কিছু করছি, তা আপনাদের মাধ্যমেই দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আজ আলাপের সময় দেখি উনি সব জানেন। ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ইউএনডিপির সহযোগিতা, ক্যামেরা, ল্যাপটপ সবকিছু। তার মানে আমাদের সংবাদগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পৌঁছাচ্ছে। এজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এখন আমাদের বার্তা হবে- ভোট দিন, নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। এ দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পেরেছিলাম। এবারও পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, মানুষের শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। ভাবমূর্তি রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন এসেছে।
শিরোনাম যেন বার্তার প্রতিবন্ধক না হয় সাংবাদিকদের প্রতি সে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা সংবাদ পরিবেশনের সময় একটু সচেতন থাকবেন। অনেক সময় দেখেছি, ভেতরে পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেও হেডলাইন বা স্ক্রলে নেগেটিভ বার্তা থাকে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। দয়া করে শিরোনাম এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সাংবাদিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সরাসরি অংশগ্রহণে বিভিন্ন ‘ওয়্যারনেস রেইজিং ক্যাম্পেইন’ চালু করবে। আমরা সাংবাদিকদের পার্টনার করে কাজ করতে চাই। সচেতনতামূলক প্রচারণায় আপনাদের যুক্ত করতে চাই।
ভোটের তারিখ দুই মাস আগে জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে কমপক্ষে দুই মাস আগেই সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন দিন ভোট, কোন দিন মনোনয়ন, সমস্ত ডিটেইলসহ।
সিইসি আরও বলেন, ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসার, সব কর্মকর্তাদের বলব, এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি। যেমন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পেরেছিলাম, এবারও পারব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ইস
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ বছর ধরে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছি: সিইসি
গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এখন সময় এসেছে দায়িত্ব পালনের।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি (আরএফডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল)। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা আজ যা কিছু করছি, তা আপনাদের মাধ্যমেই দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আজ আলাপের সময় দেখি উনি সব জানেন। ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ইউএনডিপির সহযোগিতা, ক্যামেরা, ল্যাপটপ সবকিছু। তার মানে আমাদের সংবাদগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পৌঁছাচ্ছে। এজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এখন আমাদের বার্তা হবে- ভোট দিন, নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। এ দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পেরেছিলাম। এবারও পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, মানুষের শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। ভাবমূর্তি রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন এসেছে।
শিরোনাম যেন বার্তার প্রতিবন্ধক না হয় সাংবাদিকদের প্রতি সে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা সংবাদ পরিবেশনের সময় একটু সচেতন থাকবেন। অনেক সময় দেখেছি, ভেতরে পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেও হেডলাইন বা স্ক্রলে নেগেটিভ বার্তা থাকে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়, মন খারাপ হয়। দয়া করে শিরোনাম এমন দিন, যাতে মানুষ পজিটিভ বার্তা বুঝতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সাংবাদিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সরাসরি অংশগ্রহণে বিভিন্ন ‘ওয়্যারনেস রেইজিং ক্যাম্পেইন’ চালু করবে। আমরা সাংবাদিকদের পার্টনার করে কাজ করতে চাই। সচেতনতামূলক প্রচারণায় আপনাদের যুক্ত করতে চাই।
ভোটের তারিখ দুই মাস আগে জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে কমপক্ষে দুই মাস আগেই সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন দিন ভোট, কোন দিন মনোনয়ন, সমস্ত ডিটেইলসহ।
সিইসি আরও বলেন, ২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসার, সব কর্মকর্তাদের বলব, এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি। যেমন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পেরেছিলাম, এবারও পারব।