চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। সোমবার নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নগরের বেসরকারি একটি ল্যাবে দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.

মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, এপিক হেলথ কেয়ারে একটি কম্বাইন কিটের মাধ্যমে দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এ কিট একাধিক ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত হয়। চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণে আরও কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা এবং শরীর লালচে হয়ে গেছে। নারীর জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে গেছে।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ প্রকাশ পায়। আক্রান্তদের মধ্যে  চামড়ায় লালচে দানার মতো ছোপ (র‌্যাশ), মাথা ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথা হয়। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় এবং এই উপসর্গ ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হতে পারে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপসর গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথমবার জনসম্মুখে খামেনি

ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর প্রথমবার জনসম্মুখে দেখা গেল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে। শনিবার রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি মসজিদে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হন। এটি ছিল পবিত্র আশুরার আগের দিনের আয়োজন। সূত্র: বিবিসি

এর আগে ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। যুদ্ধ চলাকালে খামেনি টেলিভিশনে তিনটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। ফলে গুজব ছড়ায়, তিনি হয়তো নিরাপদ বাংকারে লুকিয়ে আছেন।

শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির সরাসরি উপস্থিতির দৃশ্য দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, তিনি মসজিদে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এবং পাশে থাকা এক ধর্মীয় ব্যক্তিকে বলেন, ‘গাও সেই গান, ও ইরান’। দেশপ্রেমে ভরা এই গানটি যুদ্ধের সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

খামেনির এই উপস্থিতি এমন এক সময়ে দেখা গেছে যখন ইরানে মহররম মাসে শোক পালনের আয়োজন করা হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ তারা এই মাসে কারবালার শহীদদের স্মরণ করেন। এ বছর আশুরা পালিত হচ্ছে ৬ জুলাই।

গত ২৬ জুন একটি রেকর্ড করা বক্তব্যে খামেনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যতই চাপ দিক, ইরান কখনো ইসরায়েলের কাছে মাথা নত করবে না।

এর আগে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এই অভিযানে অংশ নেয় ১২৫টি মার্কিন যুদ্ধবিমান। টার্গেট করা হয় ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায়। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ১২ দিনের এই সংঘর্ষে ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মুল্ডারের ম্যাচ’ ইনিংস ব্যবধানে জিতে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই দ. আফ্রিকার
  • ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় জেতা যে কারণে অসম্ভব
  • বাংলাদেশে প্রথম ইনডিপেনডেন্ট আইএফআরএস এস–১ ও এস–২ রিপোর্ট প্রকাশ করল ব্র্যাক ব্যাংক
  • কী করে বুঝবেন হাড়ে ইনফেকশন
  • ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে যা হতে পারে
  • ঋতুপর্ণাদের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
  • টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা, ফিরলেন শানাকা-চামিকা
  • টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংস, মুল্ডারের নামটি মনে রাখুন
  • ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথমবার জনসম্মুখে খামেনি