চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ২ জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত
Published: 8th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। সোমবার নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নগরের বেসরকারি একটি ল্যাবে দুই জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, জিকা ভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ প্রকাশ পায়। আক্রান্তদের মধ্যে চামড়ায় লালচে দানার মতো ছোপ (র্যাশ), মাথা ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথা হয়। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় এবং এই উপসর্গ ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হতে পারে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপসর গ
এছাড়াও পড়ুন:
এক আর্জেন্টাইনের হ্যাটট্রিকে মেসিদের বড় জয়, প্রথমবার কাপ ফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। আজ প্লে-অফের ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিওনেল মেসির দল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ লিগে ৩০টি দল ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে ভাগ হয়ে খেলে। দুই অংশের চ্যাম্পিয়নরা খেলে এমএলএস কাপ ফাইনাল। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মায়ামি এর আগে তিনবার প্লে-অফে খেললেও কনফারেন্স সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। এবার সেমি ও ফাইনাল জিতে নাম লিখিয়েছে কাপ ফাইনালেই।
চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আজকের কনফারেন্স ফাইনালে মায়ামি জিতেছে তাদেও আলেন্দের নৈপুণ্যে। ২৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন হ্যাটট্রিক করেছেন। একটি গোল করেছেন আরেক আর্জেন্টাইন মাতেও সিলভেত্তি। অন্য গোলটি তালেসকো সেগোভিয়ার। মেসি তাঁর রোজারিওর ছেলে সিলভেত্তির গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন।
আর্জেন্টাইনময় ম্যাচটিতে আলেন্দে মায়ামিকে এগিয়ে দেন ১৪তম মিনিটে। এই গোলে অ্যাসিস্ট ছিল আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের। ২৪তম মিনিটে আলেন্দে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন হেডে, তাঁকে বক্সে দুর্দান্ত এক ক্রস দেন জর্দি আলবা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে নিউইয়র্ক সিটির জাস্টিন হাক এক গোল শোধ করে দিলে মায়ামি বিরতিতে যায় ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।
৬৭তম মিনিটে মেসি বক্সের মধ্যে ঘেরাওয়ে পড়লে বল বাড়ান ফাঁকায় থাকা সিলভেত্তির দিকে। ১৯ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বল জালে জালে পাঠাতে ভুল করেননি। মায়ামি জয়ের বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয় ৮৩তম মিনিটে।
এ সময় বক্সের ভেতর আলবার ব্যাক পাস পেয়ে সেগোভিয়া গোল করে ব্যবধান ৪-১ করে ফেলেন। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ইয়ানিক ব্রাইটের সহায়তায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আলেন্দে। মায়ামি মাঠ ছাড়ে ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর এমএলএস কাপ ফাইনালে মায়ামি খেলবে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে সান ডিয়েগো ও ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে।