বেতের নামাজ ওয়াজিব, যা এশার নামাজের পরে পড়া হয়। এই নামাজ রাতের ইবাদতের পরিপূর্ণতা এনে দেয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনার সুযোগ সৃষ্টি করে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেতের ছেড়ে দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪১৮)
বেতের নামাজ কীবিত্র অর্থ ‘বিজোড়’ এবং এই নামাজের রাকাত সংখ্যা বিজোড় হওয়ায় এটি বিত্র বা বেতের বা বিতরের নামাজ নামে পরিচিত। বেতের নামাজ হলো একটি ওয়াজিব নামাজ, যা এশার নামাজের পর থেকে ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত পড়া যায়।
এটি সাধারণত এক, তিন বা ততোধিক রাকাতে পড়া হয়, তবে তিন রাকাত বেতের নামাজ সবচেয়ে প্রচলিত। নবীজি (সা.
বেতের নামাজ পড়ার নিয়ম হলো:
নিয়ত: বেতের নামাজের নিয়ত করুন। উদাহরণ—‘আমি তিন রাকাত বেতের নামাজ ওয়াজিব আদায় করছি আল্লাহর জন্য।’
প্রথম দুই রাকাত: প্রথম দুই রাকাত অন্য ফরজ বা সুন্নত নামাজের মতো পড়ুন। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়ুন, রুকু, সিজদা এবং দুই সিজদার মাঝে দোয়া পড়ুন। দ্বিতীয় রাকাত শেষে তাশাহহুদ পড়ে বসুন।
তৃতীয় রাকাত: তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়ুন। তারপর ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হাত বেঁধে দোয়া কুনুত পড়ুন: ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানুমিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুসনি আলাইকাল খাইর...’ (সুনানে তিরমিজী, হাদিস ৪৬৪)।
দোয়া কুনুত পড়ার পর রুকু, সিজদা, তাশাহুদ ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করুন।
রাকাতের সংখ্যা: সাধারণত তিন রাকাত পড়া হয়। তবে ১ রাকাত বা ৫, ৭, ৯ রাকাত পড়ার কথাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হানাফি মাযহাব মতে, তিন রাকাত নামাজ এক সালামে পড়তে হয়।
সময়: এশার পর থেকে ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত পড়া যায়। যাদের তাহাজ্জুদের অভ্যাস আছে তাদের জন্য তাহাজ্জুদের পরে পড়া উত্তম।
আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত২৮ জুন ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
বেতের নামাজ পড়ার নিয়ম
বেতের নামাজ ওয়াজিব, যা এশার নামাজের পরে পড়া হয়। এই নামাজ রাতের ইবাদতের পরিপূর্ণতা এনে দেয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত প্রার্থনার সুযোগ সৃষ্টি করে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেতের ছেড়ে দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪১৮)
বেতের নামাজ কীবিত্র অর্থ ‘বিজোড়’ এবং এই নামাজের রাকাত সংখ্যা বিজোড় হওয়ায় এটি বিত্র বা বেতের বা বিতরের নামাজ নামে পরিচিত। বেতের নামাজ হলো একটি ওয়াজিব নামাজ, যা এশার নামাজের পর থেকে ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত পড়া যায়।
এটি সাধারণত এক, তিন বা ততোধিক রাকাতে পড়া হয়, তবে তিন রাকাত বেতের নামাজ সবচেয়ে প্রচলিত। নবীজি (সা.) বলেন, ‘বেতের নামাজ তিন রাকাত পড়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৭৫২)
আরও পড়ুননামাজের ভেতরে দরুদ পড়ার নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বেতের নামাজের নিয়মবেতের নামাজ পড়ার নিয়ম হলো:
নিয়ত: বেতের নামাজের নিয়ত করুন। উদাহরণ—‘আমি তিন রাকাত বেতের নামাজ ওয়াজিব আদায় করছি আল্লাহর জন্য।’
প্রথম দুই রাকাত: প্রথম দুই রাকাত অন্য ফরজ বা সুন্নত নামাজের মতো পড়ুন। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়ুন, রুকু, সিজদা এবং দুই সিজদার মাঝে দোয়া পড়ুন। দ্বিতীয় রাকাত শেষে তাশাহহুদ পড়ে বসুন।
তৃতীয় রাকাত: তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়ুন। তারপর ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হাত বেঁধে দোয়া কুনুত পড়ুন: ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানুমিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুসনি আলাইকাল খাইর...’ (সুনানে তিরমিজী, হাদিস ৪৬৪)।
দোয়া কুনুত পড়ার পর রুকু, সিজদা, তাশাহুদ ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করুন।
রাকাতের সংখ্যা: সাধারণত তিন রাকাত পড়া হয়। তবে ১ রাকাত বা ৫, ৭, ৯ রাকাত পড়ার কথাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হানাফি মাযহাব মতে, তিন রাকাত নামাজ এক সালামে পড়তে হয়।
সময়: এশার পর থেকে ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত পড়া যায়। যাদের তাহাজ্জুদের অভ্যাস আছে তাদের জন্য তাহাজ্জুদের পরে পড়া উত্তম।
আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত২৮ জুন ২০২৫