জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হাসিবুর রহমান (১৭) ‘শহীদ’ হিসেবে গেজেটভুক্ত হলেও সরকারী সহায়তা পায়নি পরিবার। 

৬ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাসিবের পরিবার থেকে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসিবের বড় চাচা তোতা মিয়া ঢালী। 

তিনি জানান, শহীদ হাসিবের বাবা দেলোয়ার হোসেন ঢালী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তার দেখভাল করেন হাসিবের বৃদ্ধ দাদি, যিনি নিজেও শারীরিকভাবে অক্ষম। পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

তোতা মিয়া ঢালী বলেন, “ শহীদ হাসিব গেজেটভুক্ত হলেও আমরা অধিকাংশ সরকারি সাহায্য পাইনি। আমাদের পরিবারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদিও হাসিব দেশের ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে।”

‘‘ভাতার জন্য বিভিন্ন স্থানে আমরা ঘুরেছি। শিঘ্রই হয়ে যাবে এমন আশ্বাস পেলেও জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।’’ অভিযোগ তোতা মিয়া ঢালীর। 

শহীদ হাসিবুর রহমানের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার উত্তর কানাইপুর গ্রামে। অভাব অনটনের সংসারে বড় হয়েছিলেন হাসিব। প্রতিবন্ধী পিতা আর নিজের ভরণপোষণের জন্য রং মিস্ত্রির কাজ শুরু করেন ঢাকার সাভারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি ৫ আগস্ট সাভারে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট হাসিব মারা যান। পরে তাকে দাফন করা হয় পৈত্রিক ভিটায়। তার সরকারি গেজেট নং ৭৭৭। 

দাদীর কাছে বড়ো হতে থাকেন মা-হারা হাসিব। নাতির মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না দাদী সিরাতুননেছা। তিনি বলেন, ‘‘আমার নাতি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছিল। ওর বাবা প্রতিবন্ধী। আমি তাকে মুখে তুলে খাওয়াই। আমার নিজেরই বয়সের কারণে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়; তবু করি। এ অবস্থায় নাতিটা মারা গেলো। শহীদ পরিবারের সবাই ভাতা পেলেও আমার ছেলে দেলোয়ার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত।’’ 

এ বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, হাসিবের পরিবারের প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা ও ভাতা প্রাপ্তির জন্য তিনি উদ্যোগ নিবেন।

বেলাল//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ব র র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে (জাকির) উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

এসময় জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩১ দফা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। ভোটের অধিকার ছিলনা। তাই ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আল আমিন, সৈয়দ গোলাপ, মোক্তার, কাজী শান্ত, সেচ্ছাসেবকদলের দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আসাদ, মোশাররফ, ছাত্রদলের লাদেন হোসেন, শিপন, আবির, আপন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ