শাকিবের নায়িকা নিয়ে আপত্তি, নিজেকে কেন স্বার্থপর বললেন দীপা
Published: 8th, July 2025 GMT
গেলে কয়েক বছর দেশের নায়িকাদের সঙ্গে সিনেমায় খুব একটা দেখা যায় না শাকিব খানকে। ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘দরদ’ ‘বরবাদ’, সিনেমায় লিড ক্যারেকটারে ইধিকা পাল, মিমি চক্রবর্তী, সোনাল চৌহানই তার প্রমাণ। শোনা যাচ্ছে শাকিবের পরবর্তী সিনেমাতেও নাকি থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি তোলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। দীপার তার আপত্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেউ আবার নাখোশ হয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার কটাক্ষও করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হলেন দীপা।
নিজের অবস্থানে অনড় থেকে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘জি আমি স্বার্থপর। আমি চাই আমার দেশের উন্নতি হোক। আমার মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। আর্টিস্টদের লাভ হোক।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শাকিব খানের সিনেমা মানেই বিশাল কিছু। সেখানের একটা অংশ কেন আমরা অন্যদের দিয়ে দেব? যেখানে নারী লিড রোল এর সুযোগ খুব বেশি থাকে না। যাও দুই একটা থাকে তা যদি অন্য দেশের আর্টিস্টের দিয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের আর্টিস্টদের জন্য কি থাকল?’
সবশেষে অভিনেত্রী লেখেন, ‘অলরেডি অনেক আর্টিস্টই সিনেমায় প্রমাণিত। চিন্তা ভাবনা বদলাতে হবে। গল্প নির্ভর সিনেমা বানাতে হবে।’
এর আগে সোমবার সিনেমার নামে ছড়িয়ে যাওয়া ফটোকার্ড শেয়ার করে নিজের ফেসবুকে তিনি লিখছিলেন, ‘এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের সিনেমা হয়, তাহলে ফিমেল লিড রোল করার মতো কোনো শিল্পী কি আমাদের দেশে নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ট স ট
এছাড়াও পড়ুন:
সহায়তার টাকা না পেয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে ভাঙচুর আহতদের
রাজধানীর শাহবাগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস কক্ষ ভাংচুর করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কয়েকজন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বারডেম হাসপাতালের পাশের ওই অফিস কক্ষে প্রথমে তালা লাগানো হয়। পরে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সেখানে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন জুলাই যোদ্ধা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হামলাকারীদের অভিযোগ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কয়েকজনকে দ্বিতীয় ধাপের টাকা দেওয়ার কথা বলে তিন থেকে চার বার ঘোরানো হয়েছে। এরপর আজ টাকা দেওয়ার তারিখ দিয়েছিল। কিন্তু আজও টাকা দেওয়া হয়নি।
সহায়তার এই টাকা পেতে পাশের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত এই ব্যক্তিরা আজ দুপুরের পর ওই অফিসের সামনে ভিড় করেন। তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর সন্ধ্যার দিকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল আকবর বলেন, আজ টাকা দিতে পারবেন না। তাঁর এই কথা শুনে আহতরা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেন। এর মধ্যে ফাউন্ডেশনে একজন কর্মচারী খারাপ আচরণ করলে সেখানে ভাঙচুর করা হয় আহতদের কয়েকজন জানিয়েছেন।
ভাঙচুরের পর ওই অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, অনেকগুলো চেয়ার এলোমেলো পড়ে আছে। পানির ফিল্টার ও তিনটি দরজার গ্লাসে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেঝেতে কাচের টুকরো ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে।
মামুন হোসেন নামে আহতদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই ফাউন্ডেশনের এক কর্মী তাঁদেরকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার কথা বলেন, এরপরে সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ফাউন্ডেশনের অফিসে ভাঙচুর চালায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগে তো জুলাই ফাউন্ডেশন ছিল না। আমাদের আহতদের জন্য এই জুলাই ফাউন্ডেশন। আমরা আহতরা চিকিৎসার অর্থের জন্য এখানে আবেদন করি। কিন্তু এখানে আসার পর আমাদেরকে বারবার টাকা দেওয়া হবে বলে ঘুরানো হয়।’
গত বছর আন্দোলনে গিয়ে আহত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান মামুন হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার মাথার ভেতরে গুলি, ১১ মাস যাবত চিকিৎসাধীন। আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কী? আজকে সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে পুলিশ আমাদেরকে মেরেছে, জুলাই ফাউন্ডেশনে ফোন দেওয়া হয়েছে, তখন এখান থেকে কেউ যায়নি। তো কিসের জুলাই ফাউন্ডেশন?’
আহত নাজমুল হোসেন সাভার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘সাত মাস ধরে দ্বিতীয় ধাপের টাকার জন্য ঘুরতেছি। এখানকার ভেতরের লোকদের সাথে যাদের সম্পর্ক ভালো, তাঁদেরকে আগে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের সাথে মামা-চাচার সম্পর্ক তাঁরাই টাকা পাচ্ছে। আমাদের যারা গুরুতর আহত, দেশে চিকিৎসা নেই, বাহিরে চিকিৎসা নিচ্ছে তাঁদেরকে সেকেন্ড টাইমের (দ্বিতীয় ধাপের) টাকা দেওয়া হচ্ছে না। জুলাই ফাউন্ডেশনের সিইও বারবার ডেট দিয়ে আমাদেরকে টাকা দিচ্ছেন না।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস কক্ষে ভাঙচুরের পর চেয়ারগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাজধানীর শাহবাগে ওই অফিস কক্ষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে