মুরাদনগরের মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার মামলা ডিবিতে
Published: 8th, July 2025 GMT
দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে সোমবার রাতে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলার কাগজপত্র আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত কাজের পাশাপাশি বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মাদক ব্যবসা ও একটি মোবাইল চুরির বিরোধ নিয়ে মব তৈরি করে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি এবং ছেলে রাসেল। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির মেয়ে রুমা আক্তার। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী ৩৮ জনকে এজহার নামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় র্যাব এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিরা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (মেম্বার), রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো.
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে ডিবি পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র দনগর
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে চাঁদা দাবির অভিযোগে আব্দুল জব্বার নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আসাদনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে যান জব্বার। তিনি ভবন মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জব্বারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় রফিকুল ও আরিফ নামে দুই ব্যক্তি জানান, জব্বার মনোহরদীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেন। জুলাই বিপ্লবের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেও তার নেতৃত্বে একটি গ্যাং নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তারা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকেও বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবি করে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে জমিজমা বিরোধের জেরে শিশুকে বেদম প্রহার
‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ