Risingbd:
2025-10-16@04:20:04 GMT

‘আমরা এই ভূমিতেই থাকছি’

Published: 8th, July 2025 GMT

‘আমরা এই ভূমিতেই থাকছি’

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ওপর থেকে ফেলছে বোমা আর নিচ থেকে ছুঁড়ছে গুলি। এমনকি যেসব ফিলিস্তিনি ত্রাণ নিতে ত্রাণকেন্দ্রে যাচ্ছে সেখানেও গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এরপরেও গাজাবাসীকে জোরপূর্বক স্থানান্তরের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা। মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার বাসিন্দা আল-খাইর বলেন, “এটা আমাদের ভূমি। আমরা এটা কার কাছে রেখে যাব, কোথায় যাব?”

সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আতিথ্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প উপকূলীয় ছিটমহল থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিতর্কিত উদ্যোগের অগ্রগতির ইঙ্গিত দেন।

মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে এক নৈশভোজের শুরুতে সাংবাদিকদের নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করছে যারা ফিলিস্তিনিদের ‘উন্নত ভবিষ্যৎ’ দেবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে গাজার বাসিন্দারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে পারবে।

ট্রাম্পের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নেতানিয়াহু বলেন, “আপনি জানেন যদি মানুষ থাকতে চায়, তাহলে তারা থাকতে পারে। কিন্তু যদি তারা চলে যেতে চায় তবে তাদের চলে যেতে হবে। এটি কারাগার হওয়া উচিত নয়। এটি একটি উন্মুক্ত জায়গা হওয়া উচিত এবং মানুষকে স্বাধীনভাবে পছন্দ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।”

ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার এবং উপত্যকাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরিয়া’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই সময় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে সাময়িকভাবে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

২৭ বছর বয়সী গাজার বাসিন্দা সাঈদ ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ এবং বারবার অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির পরেও গাজার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত রয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের নিজস্ব ইচ্ছায় অন্য দেশ ভ্রমণের সুযোগ ও অধিকার আছে, কিন্তু ফিলিস্তিনি হিসেবে আমরা বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করি।”

গাজার ফিলিস্তিনি আবু সামির এল-ফাকাওয়ি বলেন, “আমি গাজা ছেড়ে যাব না। এটি আমার দেশ।”

তিনি আরো বলেন, “যুদ্ধে শহীদ হওয়া আমাদের সন্তানদের এখানে সমাহিত করা হয়েছে। আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধু, আমাদের চাচাতো ভাইবোন- সবাই এখানে সমাহিত। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু বা অন্য কেউ পছন্দ করুক বা না করুক, আমরা এই ভূমিতেই থাকছি।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

চলে গেলেন মধুমতী

বলিউড অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন। গতকাল মৃত্যু হয় ৮৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন মধুমতী। গতকাল ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মধুমতীর আসল নাম ছিল হুটোক্সি রিপোর্টার। ধর্মেন্দ্র থেকে দিলীপ কুমার ও জিতেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশৈলের জন্যও সুনাম ছিল মধুমতীর। বলিউড অভিনেত্রী হেলেনের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই তুলনা করা হতো। ‘আঁখে’, ‘টাওয়ার হাউজ়’, ‘শিকারি’, ‘মুঝে জিনে দো’র মতো ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।

বলিউডের বিন্দু দারা সিং, অক্ষয় কুমার, চাঙ্কি পান্ডে, জসবিন্দ্র নরুলা শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমতী বলিউডে অভিনয় ও নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর ছাত্রছাত্রীরাও।
গতকাল বিকেলেই বুওশিওয়ারা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। বিন্দু দারা সিং মধুমতীর মৃত্যুতে লিখেছেন, ‘শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শক মধুমতীজির আত্মার শান্তি কামনা করি। সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এক সুন্দর জীবনযাপন করেছেন। আমরা অনেকেই তাঁর থেকে নাচ শিখেছি।’

মধুমতীর জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১৯৫৭ সালে এক মারাঠি ছবিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তাঁর। ভরতনাট্যম, কত্থক, কথাকলি ও মণিপুরির মতো নৃত্যের প্রশিক্ষণ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতেও নাচের দক্ষতা ছিল।

আরও পড়ুনক্যানসারে মারা গেছেন ‘মহাভারত’ অভিনেতা১১ ঘণ্টা আগে

নৃত্যশিল্পী দীপক মনোহরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন মধুমতীর বয়স মাত্র ১৯। দীপক বয়সে অনেকটা বড় ছিলেন এবং চার সন্তানের বাবা ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় অল্প বয়সে। তারপর মধুমতীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ