স্মার্টফোন থেকে ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ডসহ বার্তা ও ছবি চুরি করছে এই অ্যাপ
Published: 8th, July 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছেন কানাডার সাইবার নিরাপত্তা গবেষক এরিক ডায়গল। তাঁর দাবি, ‘ক্যাটওয়াচফুল’ নামের অ্যাপটি গোপনে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে থাকা ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে গুগলের ফায়ারবেস তথ্যভান্ডারে পাঠাতে থাকে।
এরিক ডায়গল বলেন, ক্যাটওয়াচফুল শিশুদের স্মার্টফোনে নজরদারি করার অ্যাপ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও গোপনে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত পাঠাতে থাকে, যা স্টকারওয়্যার নামে পরিচিত। আর তাই স্মার্টফোনে ইনস্টল করলেই অ্যাপটি গোপনে ব্যবহারকারীর ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, কলের তালিকা, বার্তা, ছবি, অবস্থানসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গোপনে ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে আশপাশের শব্দ ধারণের পাশাপাশি সামনের ও পেছনের ক্যামেরারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অ্যাপটি।
আরও পড়ুনকল মার্জিং প্রতারণা কী, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে২৩ মার্চ ২০২৫ক্যাটওয়াচফুল গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। আর তাই অ্যাপটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘সাইডলোডিং’। অর্থাৎ এটি ইনস্টল করতে হলে ফোনে সরাসরি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয়। ইনস্টল হওয়ার পর অ্যাপটি নিজেকে ‘সিস্টেম অ্যাপ’ হিসেবে লুকিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন আপনার ফোনে কি আড়ি পাতা হয়েছে, বুঝবেন কীভাবে?২৭ আগস্ট ২০২৪সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের স্টকারওয়্যার অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। আর তাই স্মার্টফোন থেকে দ্রুত ক্ষতিকর অ্যাপটি মুছে ফেলতে হবে। ক্ষতিকর অ্যাপ থেকে রক্ষা পেতে অ্যাপ ব্যবহারের আগেই নির্মাতাদের বিষয়ে অনলাইনে খোঁজখবর নিতে হবে। জানতে হবে অ্যাপটির বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাও।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থাকার ৬ লক্ষণ১১ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫