অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছেন কানাডার সাইবার নিরাপত্তা গবেষক এরিক ডায়গল। তাঁর দাবি, ‘ক্যাটওয়াচফুল’ নামের অ্যাপটি গোপনে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে থাকা ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে গুগলের ফায়ারবেস তথ্যভান্ডারে পাঠাতে থাকে।

এরিক ডায়গল বলেন, ক্যাটওয়াচফুল শিশুদের স্মার্টফোনে নজরদারি করার অ্যাপ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও গোপনে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত পাঠাতে থাকে, যা স্টকারওয়্যার নামে পরিচিত। আর তাই স্মার্টফোনে ইনস্টল করলেই অ্যাপটি গোপনে ব্যবহারকারীর ই–মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, কলের তালিকা, বার্তা, ছবি, অবস্থানসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গোপনে ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে আশপাশের শব্দ ধারণের পাশাপাশি সামনের ও পেছনের ক্যামেরারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অ্যাপটি।

আরও পড়ুনকল মার্জিং প্রতারণা কী, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে২৩ মার্চ ২০২৫

ক্যাটওয়াচফুল গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। আর তাই অ্যাপটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘সাইডলোডিং’। অর্থাৎ এটি ইনস্টল করতে হলে ফোনে সরাসরি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয়। ইনস্টল হওয়ার পর অ্যাপটি নিজেকে ‘সিস্টেম অ্যাপ’ হিসেবে লুকিয়ে ফেলে।

আরও পড়ুন আপনার ফোনে কি আড়ি পাতা হয়েছে, বুঝবেন কীভাবে?২৭ আগস্ট ২০২৪

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের স্টকারওয়্যার অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। আর তাই স্মার্টফোন থেকে দ্রুত ক্ষতিকর অ্যাপটি মুছে ফেলতে হবে। ক্ষতিকর অ্যাপ থেকে রক্ষা পেতে অ্যাপ ব্যবহারের আগেই নির্মাতাদের বিষয়ে অনলাইনে খোঁজখবর নিতে হবে। জানতে হবে অ্যাপটির বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাও।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থাকার ৬ লক্ষণ১১ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ফেনীতে, মুহুরী নদীর ৭ স্থানে বাঁধে ভাঙন

টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গত ২৪ ঘণ্টায় (৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) জেলায় ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি চলতি বছর দেশের একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃষ্টিতে শহরের এসএসকে সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোমর সমান পানি জমেছে অনেক সড়কে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।

এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফেনী বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার জানান, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর বাঁধের অন্তত সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হলো- পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা (দুইটি স্থান), সাহেবনগর, দেড়পাড়া ও গদানগরসহ মোট সাতটি স্থান। 

ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‍“মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। যেকোনো জরুরি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ