সাতক্ষীরার ২০৩ কি.মি. সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার
Published: 9th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার ২০৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অন্যদিকে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা, ফলে সীমান্ত এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বিজিবির দেওয়া তথ্য মতে, সাতক্ষীরায় ৩৬ কিলোমিটার স্থল ও ১৬৭ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তায় টহল জোরদার করা হয়েছে। এ কাজে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন ও শ্যামনগরের নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়ন। নিরব নজরদারির সঙ্গে বিজিবির জোরদার টহল করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীও সজাগ রয়েছেন।
সাতক্ষীরার সীমান্তের ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন সাদমান জানান, টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কোর কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, সাতক্ষীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা। ভারত অংশে সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সাতক্ষীরা সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো করা হবে।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁর দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের আটক করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে গতকাল রাতের কোনো এক সময় ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে রাত ৩টার দিকে ২৭১/১ এস সীমান্ত পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কালুপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ধামইরহাট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। তাঁদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই ১৪ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গতকাল রাতের কোনো এক সময় সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া এলাকা দিয়ে চারজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সীমান্তের ২৪৬/২ এস পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ওই চারজনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাঁদের সাপাহার থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই চারজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তের আগ্রাদ্বিগুণ এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।