নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, May 2025 GMT
নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও হামলার অভিযোগে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ, মুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, আউড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা পলাশ মোল্যা এবং শেখহাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন।
জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট নড়াইল শহরের সীমাখালী-ফেরীঘাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি মামলা হয়।
মামলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ এজাহারভুক্ত ৯০ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ন ত গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ, ফেনীতে ব্লকেড
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী চাটগাঁ মঞ্চ’ তৈরি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম। শুক্রবার রাতে নগরের ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে এই মঞ্চ তৈরি করা হয়। রাত ১০টার দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা মঞ্চে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
এনসিপি চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফ রাত সাড়ে ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের সুস্পষ্ট অগ্রগতি দেখানো ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে এই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যাঁরা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ঘোষণা করতে হবে। তাঁদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকার এখনো জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারেনি। এই ঘোষণাপত্র তৈরি না করাটাই হবে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বাজে কাজ।
কর্মসূচি উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা সন্ধ্যা থেকেই বিপ্লব উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন। মঞ্চ প্রস্তুত হওয়ার পর বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান ও বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
এ ছাড়া জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে মিছিল করে।
ফেনীতে ব্লকেড
এদিকে একই দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মহিপাল চৌরাস্তা এলাকার উড়ালসড়কের নিচে ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১০টার দিকে। কয়েক শ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে স্লোগান দেন। তবে কর্মসূচি চলাকালে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়নি।
এতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম, আবদুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সংগঠক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনী জেলার সংগঠক আবদুল্লাহ আল যোবায়ের প্রমুখ।