ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্রীড়াঙ্গনে আর দলীয়করণ হবে না। আমরা রাষ্ট্র কাঠামোকেও দলীয়করণ করবো না।

স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে, গত জুলাইয়ে যেভাবে ছাত্রদের, বিএনপি নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে, আমরা সেই স্বৈরাচারীর বিচার অবশ্যই করবো।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় যুব শক্তি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সমর্থন করছি। কিন্তু একটি গোষ্ঠী ক্ষমতার মোহে পড়ে গেছে। তারা সংস্কারের কথা বলে বিভিন্ন অযুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে।

তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে এখনও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে আছে। এদের রেখে আপনারা সংস্কার করতে পারবেন না। বিএনপি আরও দুই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কারের দাবী উপস্থাপন করেছে। আমরা আপনাদের চেয়ে বিচার কোন অংশে কম চাই না।

আপনারা সতর্ক থাকবেন। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এ সরকারের ভেতরে ঢুকে নির্বাচনে পেছানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট সারা বাংলাদেশে চলছে। এ টুর্নামেন্ট শেষ করার পর খালেদা জিয়ার নামে মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।

আমিনুল বলেন, আমি যখন বলেছি খালেদা জিয়ার নামে ফুটবল বা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে, এটাকে অনেকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছে। আমরা বলেছি আমরা দলীয় উদ্যোগে এ খেলার আয়োজন করবো। এটা রাষ্ট্রীয় আয়েজনে হবে না।

এসময় জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধনসহ ছয় দাবি শিক্ষকদের

সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে বেতন সুরক্ষা ও গ্রেডেশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং বদলির সুযোগ সীমিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সরকারিকৃত মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪'-এর কিছু অসঙ্গতি সংশোধন ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

আরো পড়ুন:

এক অধ্যাপকের কাছেই ‘অসহায়’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে শোকজ

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ছিদ্দিক আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালে প্রণীত আত্তীকরণ বিধিমালা শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করা হলেও এতে বৈষম্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে একই স্মারক ও তারিখে বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বেতন নির্ধারণে বৈষম্য লক্ষ করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে, যাদের অধিকাংশই অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪২টি বিদ্যালয় বেতন সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছে এবং আরো ৫টি স্কুল ও কলেজকে এই সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও এর বাইরে রয়েছে। এতে শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”

তিনি আরো বলেন, “সরকারি কিংবা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু থাকলেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪' এর ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বদলির অধিকার বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বাধা তৈরি হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো
১. আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর ১০ নম্বর ধারা সংশোধন করে পে-প্রোটেকশন নিশ্চিত করা।
২. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পদোন্নতি দেওয়া।
৩. বৈষম্যমূলক ১৩ নম্বর ধারা বাতিল করে বদলির সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে আত্তীকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা ও ব্লক পোস্ট ব্যবস্থা বাতিল করা।
৬. বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৫ (৩) নম্বর ধারা বাতিল করা।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধনসহ ছয় দাবি শিক্ষকদের